এইসব মানুষকে কেউ ভুলে যায় নাকি?
যে দেখেনি তার জীবনটাই পুরো ফাঁকি।
আমার অফিসের পাশেই হাইকোর্ট
যাতায়াতে তাঁকে কত কত বার দেখি!
অভিনয়ে আঁখির গুরুত্ব তাঁকে দেখি আর শিখি।
২ ডিসেম্বর এই মানুষটির জন্মদিন।

কাকে বলে অভিনেতা!
তমাল সাহা

হে লালমোহন গাঙ্গুলি,
তোমার অভিনয় যার স্মরণে নেই
সে কী বাঙালি!

গুগাবাবায় হাল্লা রাজা
কি করে হয়ে যায় শুন্ডি রাজা!
তোমার কারিগরি বিভঙ্গ
না দেখলে সে কি যায় বোঝা?
তোমার বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় নৈপুণ্য
হীরালালকে ধরে রাখে সিনেমা জন অরণ্য।

ওগো বধূ সুন্দরী-তে অবলাকান্ত তুমি
আলিবাবা- তে ফ্যান্টাসি দেখাও
গোপাল ভাঁড়-এ দেখাও
নির্মল রসের কমেডিয়ান ভাঁড়ামি।
সোনার কেল্লায় উটের পিঠে ওঠার দৃশ্য,
জয় বাবা ফেলুনাথ-এ
মগনলালের ম্যাজিসিয়ানের
উত্তেজনাকর সেই চপার ছোঁড়ার দৃশ্য
কী হয়! কী হয়! হতভম্ব দর্শক-সিনেমাপ্রেমী।
কে ভোলে মাটিতে সটান তোমার ভিরমি?

বেনারস ঘাটের হে নকলি সন্ন্যাসী
তোমাকে প্রণাম সারছে ভক্ত।
দূর থেকে দেখে আশ্চর্য মানিকদা–
তার মুখেও নিঃশব্দ হাসি,গণ্ডদেশ আরক্ত!

হীরক রাজার দেশে-র গবেষক বিজ্ঞানী
কত ঐশ্বর্য লুকানো ছিল তোমার অভিনয়শালে
সেটাও মানিকদা জানে কিনা কি জানি?

ফেলুদা সিরিজ বন্ধ, বলেন সত্যজিৎ রায়
কোথায় পাবো আর এমন অদ্বিতীয় জটায়ু!
তুমি এখনো বেঁচে আছো হৃদয়ে আমাদের
নিয়ে আনন্দ উজ্জ্বল পরমায়ু।