অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ কবিগুরু রবীন্দ্র পথে স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে প্রীতম গার্মেন্টস নামে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানির দোকানের সামনে রাস্তার উপর শারদ উৎসব উপলক্ষে একটি তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। স্থানীয় একটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এবং কাউন্সিলর ওই দোকানি প্রীতম সাধুখাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনি ওই তোরণদ্বারে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছেন।এর ফলে উত্তেজিত ওই ক্লাবের সদস্যরা তাকে চড়,ঘুষি মারেন।  কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে সেই সময়ে সশরীরে হাজির ছিলেন। অভিযোগ তিনি বিন্দুমাত্র এই শারীরিক নিগ্রহের বিষয়ে বাধা দেননি। এমনকি প্রতিবাদও করেননি।

প্রীতম সাধুখাঁর অভিযোগ তার গার্মেন্টস্-এর দোকানকে আড়াল করে একটি তোরণদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে। দোকানদার প্রীতম জানান যে, প্রতিবছরই এখানে তোরণদ্বার নির্মাণকরা হয়। আমার দোকান এবং পাশের দোকানের মাঝামাঝি অঞ্চলে এই তোরণদ্বার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এবছর যে তোরণদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে তাতে আমার দোকান পুরোপুরি আড়ালে পড়ে গিয়েছে। আমি একটি সাধারণ দোকানি। আমার মূলধন খুবই কম। সম্প্রতি আমার পিতা গত হয়েছেন। ‌আমি সেই দোকানদারিতে হাত দিয়েছি, দায়িত্ব নিয়েছি। পুজোর মরশুম উপলক্ষে কিছু মালও তুলেছি। আমার বেচাকেনা এমনিতেই কম। তোরণদ্বারের কারণে দোকানটি আড়াল হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যবসা লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে যাচ্ছে আমার ব্যবসা মার খাচ্ছে। আমার একটি দোষ হয়েছে যে আমি রাগে তোরণদ্বারে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি। এটাই আমার দোষ। কিন্তু আমার বক্তব্য এই যে একটি ছোট্ট দোকানদার তার ব্যবসা আড়াল হয়ে যাচ্ছে,ব্যবসা বাধা পাচ্ছে সেই দিকে যারা তোরণ বানিয়েছেন তারা কি দৃষ্টি দেবেন না? আর গত বছর যে তোরণদ্বার নির্মাণ করা হয়েছিল দুই দোকান প্রীতম গার্মেন্টস ও মাতৃ ভেরাইটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে সেটি না করে পাশের দোকানটিকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রেখে আমার দোকানকে গার্ড করে এই তোরণদ্বার নির্মাণ করা হলো কেন? এই অভিযোগে ওই ক্লাবের সদস্যরা সদলে এসে আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন।‌ আমি চুপচাপ সহ্য করে যাই।

অন্যদিকে তারা জানিয়ে দিয়ে গিয়েছে যে, এই তোরণদ্বারে তারা নতুন করে ব্যানার লাগাবে সেই খরচ আমাকে দিতে হবে। আমার প্রশ্ন, আমি শারীরিকভাবে নিগ্রহ হলাম। এত পথ চলতি লোকের সামনে, খরিদ্দারদের সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করা হলো তারপরেও আমার ওপরে এই খরচের বোঝা চাপানো হবে কেন?

ঘটনায় জানা যায়, কোনো দোকানি তার পাশে এসে দাঁড়ায়নি। রীতিমতো নিশ্চিতভাবে কোনরকম ভয়ের আশঙ্কা করেছেন এবং এই ব্যবসায়ী সমিতির ইউনিটের পরিচালক সমিতিও এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি।

এখন প্রশ্ন, এই যে তোরণদ্বার নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি কার অনুমতিতে করা হচ্ছে? কাঁচরাপাড়ার এই প্রধান সড়কের উপরে এই তোরণদ্বার নির্মাণ করার ফলে জনসাধারণের চলাচল, গাড়িঘোড়া চলাচল বিপর্যস্ত তো হচ্ছেই এবং এই তোরণদ্বারের কারণে ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসায মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই তোরণনদ্বার নির্মাণের ক্ষেত্রে কি পৌরসভা থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হচ্ছে? অনেকে বলছেন পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে। কিন্তু এই যে ঘটনা ঘটে গেল তার দায়িত্ব পুলিশ বা পৌর প্রশাসন অস্বীকার করতে পারেন কি? যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন তারা পুজোর মরশুমে অযথা একটি দোকানদার মার খেলেন,এর বিহিত কি হবে?