সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ, অবতক খবর, কোচবিহার :    গোসাইরহাট অঞ্চলের বারঘরিয়া গ্রামের বাংলাদেশ সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় জমিতে ফসল নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশীদের হাতে প্রহৃত হয়েছেন একজন মহিলাসহ আরো ৩জন ভারতীয় নাগরিক। ওই তিনজন নাগরিককে আজ দেখতে যান গোসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মদন চন্দ্র বর্মন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত নজরুল ইসলাম।

গোসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মদন চন্দ্র বর্মন বলেন, ওই দিন ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমি শীতলকুচির বিডিও থানার ওসি এবং বিএসএফ কেও বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। ওই ঘটনার পর বিএসএফ এবং বিডিআর এর মধ্যে দু পক্ষের আলোচনা হয় বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১০ ই নভেম্বর গোসাইরহাট অঞ্চলের বারোঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলী মিঞা তার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কাঁটাতারের ওপারে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশি নাগরিকের হাঁস মুরগি এবং গবাদি পশুতে তার জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশিরা উক্ত তৈয়ব আলী মিঞা এবং তার স্ত্রীকে প্রচণ্ড মারধর করে এমনকি ১৪ বছরের কিশোর ছেলে দুটিকেও বাংলাদেশীরা লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত করে দেন। ভীষণভাবে আহত অবস্থায় তারা কোনরকমে প্রাণে বেচে যায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসেন এবং শারীরিক অবস্থার বেগতিক দেখে তাদের চারজনকেই সাথে সাথেই মাথাভাঙ্গা হয়ে কোচবিহার হাসপাতাল এবং তৎপরবর্তী শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই আহতদের আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতায় এস এস কে এম হাসপাতালে রেফার করেছেন বলে জানান আহত নূর নাহার বেগম।


এমতাবস্থায় খবর পেয়ে ইতিমধ্যে এলাকার বিধায়ক হিতেন বর্মন পীড়িতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন। এছাড়াও নানা শুভানুধ্যায়ী মানুষ আহতদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে তাদের বাড়িতে যান।

জানা যায়, বিজেপির কোচবিহার জেলা বিস্তারক বিকাশ চন্দ্র বর্মন এবং শীতলখুচি ব্লকের মধ্য মন্ডল সভাপতি পবিত্র কুমার বর্মনও পীড়িতদের বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আসেন।