অবতক খবর,২৩ অক্টোবরঃ কাঁচরাপাড়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে। এবারের দীর্ঘ বছরের পুরনো একটি ক্লাব হল মাচা ক্লাব। আর এই ক্লাব থেকেই শুরু হয় যত গন্ডগোল। ফের গন্ডগোল সৃষ্টি হলো এই মাচা ক্লাব থেকেই। আর এই মাচা ক্লাবটি উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনক সিং-এর বাড়ির ঠিক সামনেই। তবে তিনিও নীরব।এই বয়সে আর কত মানুষকে বোঝাবেন? অসামাজিক ক্রিয়াকলাপে ভরে গেছে এই ক্লাব। রমরমিয়ে চলছিল জুয়ার বোর্ড।আর মদ মাতালদের আনাগোনা তো এই অঞ্চলে সবসময়ই থাকে। চোর-চিটিংবাজে ভরে গেছে এই ক্লাব। এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

২২ অক্টোবর ধনতেরাসের দিন যখন সবাই যে যার মত ব্যস্ত দীপাবলির আয়োজন করতে,তারমধ্যেই ঠিক রাত ১১টা নাগাদ এই ক্লাবে হানা দেয় পুলিশ। আর এতেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।

এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি জুয়ার বোর্ড চলছিল, গতকাল রাতেও চলছিল। যেখানে এলাকার ছেলেরা তো ছিলই,ছিল বাইরের কিছু যুবক। এই খবর পেয়েই সেখানে হানা দেয় বীজপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় তিনজনকে। সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি বাইক,তিনটি মোবাইল ফোন এবং প্রচুর টাকা পয়সা।

পরবর্তীতে এই বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর জনক সিং-কে ফোন করা হলে তিনি বলেন,”কি বলব?কাকে বলব? আমি তো সবসময় এদের বিরোধিতাই করি। কারণ আমার অঞ্চলে আমি নিজেই এই সমস্ত অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ দেখতে চাই না। পুলিশ অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে এবং আমি পুলিশকে বলব আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”

এই ঘটনার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কাউন্সিলরের বাড়ির দরজা খুললেই তো এই মাচা ক্লাব। তবে কি তিনি কিছুই দেখতে পাননি? তিনি কিছুই জানতেন না? তাঁর বাড়ির সামনে রমরমা জুয়ার বোর্ড। এটি তিনি জানতেন না? নাকি মাস গেলে মোটা টাকা আসত সেখান থেকে সেই কারণেই তিনি চুপ ছিলেন? আজ একটি ঘটনা ঘটার পর তিনি এই সমস্ত কথা বলছেন,তিনি এখন মুখ খুললেন! সব জেনেও তিনি এতদিন কেন চুপ ছিলেন কেন প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেননি?