কাঁচরাপাড়া ১০ নং ওয়ার্ডে সিপিএম আমল থেকে একটি পুকুর ভরাট হওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন স্থানীয়রাই

অবতক খবর,২০ ডিসেম্বর: কাঁচরাপাড়া ১০ নং ওয়ার্ড সিরাজ মন্ডল রোড শরদ ভিলার পেছনে বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর সেই পুকুরটি সিপিএম আমল থেকেই ভরাটের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এলাকাবাসীরা একজোট হয়ে বরাবর এর প্রতিবাদ করেছেন বলে পুকুরটি এখনো ভরাট হয়ে যায়নি। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন,সাবের আলী নামে এক ব্যক্তি এই পুকুরটি এলাকাবাসীদের জন্য দান করে গেছেন। কারণ এই পুকুরেই মানুষ স্নান করতেন, পূজার্চনা করতেন, সন্ধ্যা আরতিও হত। আর সেই সময়েই পুকুরটি বাঁধানো হয়েছিল। সিপিএম আমল থেকেই এই পুকুর বহুবার হাতবদল হয়েছে। আর বহুবার ভরাটের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়নি। বর্তমান শাসক দল ক্ষমতায় আসার পরেও অনেকেই এই পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা করেছে। ‌কিন্তু স্থানীয়রা হতে দেয়নি।

স্থানীয়রা জানান,”গতকাল হঠাৎই বিএলআরও থেকে কয়েকজন এসে পুকুরটি মাপজোক শুরু করেছিল। ‌ বর্তমানে এই পুকুরের মালিক রথতলার বাসিন্দা সুনান সাউ। তিনি সেখানে বিল্ডিং করবেন বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। বিএলআরও মাপঝোক করার সময়ই আমরা বিক্ষোভ দেখাই। কারণ সমস্ত বিষয় যদি প্রশাসনের উপর এখন আমরা ছেড়ে দিই তাহলে চলবে না। এমন পরিস্থিতি যে, জলাজমিও টাকার বিনিময়ে প্রশাসন বাস্তু জমিতে পরিণত করে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে পুরনো পরচা রয়েছে। সেখানে এটি পুকুর হিসেবে রয়েছে। এখন যদি কেউ এটিকে বাস্তু জমিতে পরিণত করতে চায় তা আমরা কোনভাবেই হতে দেব না। কারণ চারিদিকে পুকুর ভরাট হয়ে বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাচ্ছে। জলাশয় প্রায় নেই বললেই চলে। কয়েক বছর আগে এখানে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, পরপর চারটি দোকানে আগুন লেগে গিয়েছিল,এই পুকুর থাকার ফলেই আরো বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল এলাকার মানুষ।”

তারা আরো বলেন,গতকাল যখন বিএলআরও-র কাছে এই পুকুর মাপজোকের আইনি কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়, তারা কিন্তু তা দেখাতে পারেননি। এই পুকুর নিয়ে আগে থেকেই একটা কেস চলছে। উপরন্তু মাপজোকের সময়ে পৌরসভার কেউ উপস্থিত ছিলেন না‌। অর্থাৎ পৌরসভাকে না জানিয়ে তাদের আধিকারিকদের সঙ্গে না নিয়ে এই পুকুর মাপঝোক করা যাবে না এবং তারা তা করতেও পারেন না। এমনকি এই বিষয়ে এলাকাবাসীরাও কিছু জানেন না। যার ফলে তারা আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েন।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, যারা দাবি করছিলেন যে তারা বিএলআরও-র পক্ষ থেকে এসেছেন, তারা নিজেদের কার্ড পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।

স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে বিএলআরও থেকে যারা এসেছিলেন তারা সেখান থেকে চলে যান।

অন্যদিকে এ ঘটনা বিষয়ে জানার পরে স্থানীয় এক নেতা জানান, অঞ্চলে কোন রকম জলাশয় ভরাট করা যাবে না। আগে যা হবার হয়েছে। কিন্তু এখন আর এসব বেআইনি কাজ চলবে না। পুকুরের যিনি মালিক তাকে আমরা ডাকবো। জলাশয়টি যেমন আছে তেমনই থাকবে। কোনরকম কোনো প্রমোটিং সেখানে হবে না।