অবতক খবর,২২ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়া লক্ষ্মী সিনেমা থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা যে যানবাহন নিয়ে যাতায়াত তো দূর, মানুষ পায়ে হেঁটে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা গান্ধী মোড় থেকে বাগমোড়। আর তার মাঝে লক্ষ্মী সিনেমা থেকে কলেজ মোড় পেরোতেই মানুষের প্রায় আধ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে। আর যদি কোনো বড় গাড়ি সেখানে ঢোকে তবে এক ঘন্টাও লেগে যাবে যানবাহন নিয়ে ওইটুকু জায়গা পার করতে। যার জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে। আর যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে রাস্তায় বড় গর্ত গুলিতে জল জমে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তার উপর সারা দিনের অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকছে ২৭ নং বাস। যার জেরে রাস্তা প্রায় ওয়ান ওয়ে হয়ে যাচ্ছে বলা যেতে পারে।

পুজোর আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর কাঁচরাপাড়া হল অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র। যেখানে গড়ে উঠেছে বড় বড় শপিং মল। ফলে শহরবাসী তো আছেনই, দূর-দূরান্ত থেকে এই কাঁচরাপাড়ায় কেনাকাটা করতে ছুটে আসেন মানুষ। বাইরে থেকে আসা মানুষজন রাস্তার ধারে গাড়ি পার্কিং করছে,২৭ নম্বর বাস দাঁড়িয়ে থাকছে রাস্তার ধারে, বড় গাড়ি ঢুকছে ওই রাস্তায়, ফলে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই দৃশ্য প্রায় দিনের ১২ ঘন্টাই দেখা যাচ্ছে।

কাঁচরাপাড়ার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার এই চিত্র নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। কিন্তু তবুও হুঁশ নেই নগর প্রশাসন থেকে শুরু করে থানা প্রশাসনের।

কে দেখবে এই শহরকে?? মানুষ যাতে এই সমস্যার সম্মুখীন না হয়, তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলাফেরা করতে পারে সেই দায়িত্ব নেবে কে? সবথেকে বড় বিষয় হল, এই রাস্তায় যদি কোনো অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে তবে তার কি হবে? কারণ আধঘন্টার আগে তো সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স বেরোতেই পারবে না। মুমুর্ষ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে।‌

এদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে ২৭ নম্বর বাসের সংখ্যা। যার স্থায়ী ডিপো নেই। বাস মালিকরা যে যার ইচ্ছে মতো রাস্তার ধারে বাস দাঁড় করিয়ে রাখছে। যার ফলে আরো জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে।
কি করছে নগর প্রশাসন? এই ক্ষেত্রে তাদের এইরকম উদাসীনতা কেন? প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী।