অবতক খবর,১৭ এপ্রিল: আজ বীজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুবোধ অধিকারীকে স্বাগত জানালেন কাঁচরাপাড়া মন্ডল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আজ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে সংবর্ধনা জানানো হল এবং সসম্মানে বরণ করে নেওয়া হল। মন্ডল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা, মুদি ব্যবসায়ীরা আজ সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এই আলোচনা সভা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে তারা সকলেই সুবোধ অধিকারীকে আগামীর বিধায়ক হিসেবে দেখতে চান।

তারা বলেন,”২রা মে’র পর তিনিই বিধায়ক পদে আসীন হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। সেই কারণেই আজ আমরা তাঁকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং সংবর্ধনা প্রদান করেছি। আজকে মূলত ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। আমাদের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় শুধু কথা দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ীদের কোন উন্নয়ন হয়নি। আমাদের ট্রেড লাইসেন্স হয়নি। আর ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে মাঝে মাঝেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। প্রাক্তন বিধায়ককে বারবার বলা সত্ত্বেও এই সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারেননি। ‌ বাজারের উপরে ছাউনি করার জন্য বহুবার বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি।”


এ প্রসঙ্গে সুবোধ বাবু বলেন, “যা উন্নয়ন হয়েছে তা সবই প্রাক্তন বিধায়কের হয়েছে, এই বীজপুর তথা ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন হয়নি। এই ব্যবসায়ীরা এখানে দীর্ঘ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে আমি এই বাজারে আসতাম। ‌কিন্তু রোদ,ঝড়,জলে আপনারা কিভাবে ব্যবসা করছেন তা আমি বুঝতে পারছি। কারণ আমি নিজে একজন ব্যবসায়ী। সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসনকাল শেষ করে তৃণমূলের পক্ষে শুভ্রাংশু রায়কে বিধায়ক হিসেবে আনা হয়েছিল। যাতে আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু এখন তো দেখছি আপনাদের কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে অভিযোগ পাচ্ছি যে, আমাদের প্রাক্তন বিধায়ক তাঁর বাড়ির সামনে মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকত এবং অবশেষে মানুষ ধৈর্য হারিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ না শুনিয়েই ফিরে যেতেন।”

ব্যবসায়ীরা বলেন,”আপনার কথাই ঠিক। দিনের পর দিন আমরা বিধায়কের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ঘুরে এসেছি।”

সুবোধ বাবু বলেন,”প্রাক্তন বিধায়ক কেন আপনাদের কথা শোনেনি,কেন ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হয়েছে আপনাদের, তা আমি জানিনা। তবে আমি যদি ক্ষমতায় আসি তবে আপনাদের আর কোনো সমস্যার কথা আমার কাছে আলাদা করে বলতে হবে না। আমি আপনাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করব। বড় বড় শপিং মলের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রাক্তন বিধায়ক ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বড় বড় মলগুলোকে এই অঞ্চলে ঢুকিয়েছেন। তবে আমিও কথা দিচ্ছি ব্যবসায়ী সমিতিতে আর কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নাক গলাবে না। ব্যবসায়ী সমিতিতে ব্যবসায়ী সদস্যরাই থাকবেন। আমি এখন কোন পদে নেই। তবে এই কাঁচরাপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে পার্কিং নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধান আমি করব। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দিকে বিশেষ নজর দেবো আমরা। আর এখানে নিকাশির সমস্যা একটা বড় সমস্যা। ‌ সেই সমস্যার সমাধান হবে এবং সিকিউরিটিও ভালো হবে। আপনারা শুধু আমাকে আশীর্বাদ করুন। আমি ভোট প্রার্থনা করব না আপনাদের কাছে। কারণ এখন আমি ভোটের কথা বললে আপনারা শুধুই ভাববেন যে আমি ভোট পাওয়ার জন্য এই সমস্ত কথা বলছি। কিন্তু আসলে তা নয়। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করুন, আমার পাশে থাকুন। আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান হবে। আমার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন আপনারা।”

সুবোধ অধিকারীর এই সমস্ত বক্তব্য শুনে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত খুশি হন এবং তারা তাঁর নামের জয়ধ্বনি দিলেন।