অবতক খবর,১১ জুলাই: একসময়ে তৃণমূলে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি করতেন ছাত্রনেতা স্বাগতম দাস। তিনি ছিলেন কাঁচরাপাড়া কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু ২০১৯-এর গেরুয়া প্রবাহ তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। বলা ভালো, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতেই, তাঁর ল্যাজ ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে যান স্বাগতম দাস সহ শুভ্রাংশুর আরো অন্যান্য বড় বড় অনুগামীরা।

সবকিছু বেশ ভালোই চলছিল। ২০২১-এ বীজপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী হন শুভ্রাংশু রায়। বিজেপি তো ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিল যে তারাই জিতবে। কিন্তু ফলাফলে অত্যন্ত লজ্জাজনক হার উপহার পান তারা।

সম্প্রতি পিতা-পুত্র অর্থাৎ মুকুল-শুভ্রাংশু আবারো ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। অগত্যা তাদের বড় বড় অনুগামীদেরও ফিরে আসতে হবে। তাই তারা তৃণমূলের বহু উচ্চ নেতৃত্বের কাছে ফোন করেছেন। কিন্তু তেমন পাত্তা পাননি।

জানা গেছে,এদিকে স্বাগতম দাসও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ফোন করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্যকে। কিন্তু তিনি স্বাগতম বাবুকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে,এ বিষয়ে তাকে অঞ্চলের ছাত্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।তারা যদি চান তবেই স্বাগতম দাসকে দলে নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হবে।

অন্যদিকে শোনা যাচ্ছিল বীজপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্বাগতম দাসকে দলে নিতে নারাজ।

আর আজ সেই জল্পনাই সত্যি হল। কাঁচরাপাড়া কলেজ মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে কাটমানি খাওয়া নিয়ে পোষ্টার পড়ল স্বাগতম দাসের বিরুদ্ধে। আর সেই পোষ্টারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ওই পোষ্টারে লেখা রয়েছে,”পাল্টিবাজ ও দুর্নীতিগ্ৰস্থ বিজেপি নেতা স্বাগতম দাসকে যোগদান করানো যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি স্বাগতম দাস(পুচু) ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি করে এসেছে। যেমনঃলাখ লাখ টাকা নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ভর্তি করানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ, বেআইনি কার্যকলাপ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস সৃষ্টি,এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ বিরোধী আচরণ। সবথেকে বড় অপরাধ মমতাময়ী মা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদ্রুপ আচরণ ও অসামাজিক কথাবার্তার মাধ্যমে তাঁকে অপমান করেছে।


তাই খুবই নিন্দার সাথে টিএমসি/টিএমসিপি-তে কোন অবস্থাতেই এদের যোগদান করানো যাবে না।”

এ প্রসঙ্গে স্বাগতম দাস মুখ খুলতে নারাজ।

অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও মুখে কুলুপ এঁটেছে।

কে বা কারা এই পোষ্টার দিয়েছে,এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বীজপু্রে।