অবতক খবর, ৩০ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নির্মাল্য মজুমদার কল্যাণী থাকেন, এ১১/ ২১৬।

মহা পঞ্চমীর দিন তাঁর বাড়ির দুর্গোৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রথিতযশা চিকিৎসক এবং নিরন্তর সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাড়ির পুজোর একটি অন্য মাত্রা রয়েছে। এটি তথাকথিত ধর্মীয় পুজার মাত্রা ছাড়িয়ে সাহিত্য-সংগীতের সংস্কৃতিতে প্রাণময় হয়ে উঠেছে।

পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিনই এই পুজোর গৃহছাদ মণ্ডপে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহাপঞ্চমীর উদ্বোধনের দিন খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ডক্টর রুনা মজুমদার ১৫ টি খেয়ালাঙ্গের রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করে একটি মনোগ্রাহী পরিবেশ রচনা করেন। তবলায় সঙ্গত করেন অংশুমান সাহা।

এদিন সঞ্চালক ছিলেন শ্রীমতী সুতপা চক্রবর্তী।সুধী শ্রোতৃবৃন্দের এক সম্মিলন ঘটেছিল এই আসরে।

উল্লেখ্য এ দিনই শ্রীমতী রুনা মজুমদার-এর একটি ইউ টিউব চ্যানেলের সূচনা করেন ডাঃ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।

গৃহকর্তা নির্মাল্য মজুমদার জানান, মহাষষ্ঠীর দিন পরিবেশিত হবে গীতাঞ্জলির গান। সমবেত শিল্পীবৃন্দ এই সংগীত অনুষ্ঠান

পরিবেশন করবেন। সঞ্চালক থাকবেন শ্রীমতী সুনীতা রাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন সন্তোষ কুমার মুখোপাধ্যায়।

মহা সপ্তমীর দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘মহাভারতে হিংসা’ শীর্ষক আলোচনা। বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক ডঃ অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ডঃ সমীররঞ্জন অধিকারী, অধ্যাপক ডঃ অশোকপ্রসূন চট্টোপাধ্যায়। সভা পরিচালনা করবেন অধ্যাপক ডঃ সোমনাথ সরকার। এদিন উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করবেন সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়।

মহা অষ্টমীর দিন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত খেয়াল ও ঠুংরি পরিবেশন করবেন শ্রীমতী আলপনা রায়। তবলায় সঙ্গত করবেন তুষার দত্ত। মহানবমীতে অনুষ্ঠিত হবে আরতি নৃত্য। পরিচালনা করবেন শ্রীমতী পৃথা দাস।