রাষ্ট্র ও প্রশাসন যখন বারংবার লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখার কথা বলছে তখন কাঁচরাপাড়া থানার মোড় UCO Bank এ দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি।

সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ব্যাঙ্কের সামনে গিয়ে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে ঘিরে প্রায় ২০ জন লোকের ভিড়। প্রত্যেকে তার নাম লেখাতে চায় একটি কাগজে আর লোকটি তার ইচ্ছেমতো একের পর এক নাম লিখতে থাকে। এই নিয়ে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ইতিমধ্যে কয়েকজন গ্রাহক এই অব্যবস্থার প্রতিবাদ করে এবং কাগজটি ছিঁড়ে ফেলতে বাধ্য করে এবং প্রয়োজনীয় দূরত্ব রেখে পর পর লাইন দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ার কথা বলে।

এরপর ব্যাঙ্ক খোলার পর শুরু হয় আরেক বিশৃঙ্খলা। ব্যাঙ্ক থেকে টোকেন দিয়ে যাওয়া হয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের হাতে। সেখানেও কোনো অদৃশ্য হাত কারচুপি করতে থাকে। কিছু টোকেন পরপর না দিয়ে মাঝখান থেকে কিছু নম্বরের টোকেন সরিয়ে ফেলা হয় এবং একসাথে প্রায় ৩০/৩৫ জনকে বাধ্য করা হয় ব্যাঙ্কে ওঠার সিঁড়িতে গা ঘেঁষে পরপর দাঁড়াতে। তারপরও পাশ দিয়ে চলে সরিয়ে ফেলা টোকেনের মালিকদের আগমন। এ নিয়ে চলে গ্রাহকদের মধ্যে চরম বাদানুবাদ। এমনকি এও দেখা যায় ১৭ নং টোকেন একবার ঢুকে কাজ মিটিয়ে চলে যাবার কিছুক্ষণ পর আবার ১৭ নং টোকেন পাওয়া অন্য এক গ্রাহককে। এটা কি করে সম্ভব হলো, কে কিভাবে এই টোকেন আবার হস্তান্তর করলো সেটি রহস্য থেকে যায়।

এরপর দেখা যায় ব্যাঙ্কের পেছনের দরজা দিয়ে কিছু গ্রাহকের যাতায়াত। উল্লেখ্য আজ বেশিরভাগ গ্রাহক ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ যাঁরা কেউ কেউ হয়তো বা খুব অসুস্থ। তাঁরা বসে পড়েন ওই ব্যাঙ্কের সিঁড়ির উপর। এবং এই অব্যবস্থার ফলে এক কৃত্রিম ভীড় সৃষ্টি হয় এবং লাইন ধীর গতিতে এগোতে থাকে।