অবতক খবর,৭ এপ্রিল: বীজপুরে এখন গর্জে উঠেছে বিরোধীরা। শাসকের একের পর এক অন্যায় তারা জনসমক্ষে আনছেন। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসকের বিরুদ্ধে কোমড় বেঁধে ময়দানে নেমেছেন তারা। ঠিক সেইরকমই বীজপুর অঞ্চলের বিরোধী নেতৃত্বরা আমাদের কাছে ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও এই অঞ্চলের একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন তারা।
শাসক প্রসঙ্গে কি বলছেন বীজপুরের বিরোধী নেতৃত্বরা? নিম্নে বর্ণিত হলো তাদের মন্তব্য —–

“বীজপুরে একের পর এক বেআইনি কাজ হচ্ছে। তবুও রোখার কেউ নেই। কারণ কে সাহস দেখাবে! যারা করছে তারাই তো বড় বড় মাথা। প্রশাসন তাদের হাতে। তাহলে রুখবে কারা?
তবে সাধারণ মানুষ মানুষ সব দেখছে। কিন্তু তাদের মুখ খোলার অবকাশ নেই। কারণ সবই তো তাদের হাতে। আগামী দিনে যদি পার্থ ভৌমিক সাংসদ হয়ে যান তবে সেটাও তো তাদের হাতে চলে যাবে। প্রতিবাদ করার জায়গা থাকবে না। এটাই তো হচ্ছে এই অঞ্চলে। টাউন সভাপতিরও মুখ খোলার সাহস নেই। শতাধিক হকার্সদের উচ্ছেদ করে তাদের বলা হলো যে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তাদের পুনর্বাসন দিতে অনেক নাটক চললো। কেমন নাটক? তাদের নামের লিস্ট তৈরি করা হলো, কখনো তাদের ভোটার কার্ড নেওয়া হলো, বলা হলো, তাদের বসতে দেওয়া হবে, এইভাবে দিন গেল। তারা ফের প্রতিবাদ করলো, তারপর তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হল। সেই কারণে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর মুখেও শোনা গেছে যে পুনর্বাসন না দিয়ে হকারদের উচ্ছেদ সেটাও বেআইনি। এটা ঠিক হয়নি,মানুষের রুটি রুজি কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। তবে হ্যাঁ, বিবেকানন্দ হকার্স মার্কেটটি রেলের জমিতে অবস্থিত। আর এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রতিমুহূর্তে চিন্তায় থাকেন। কারণ রেল প্রশাসন যখন তখন এসে তাদেরকে হুমকি দিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ওখানে নতুন দোকান গড়ে উঠেছে। এখন প্রশ্ন,নতুন দোকান যখন হয়েছে তবে যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাদের সেখানে পুনর্বাসন দেওয়াই যেত। তবে তা হয়নি।”

আর এই নিয়ে সুর চড়িয়ে বিরোধীরা আরো অভিযোগ করে বলেছে, “সেখানে বেআইনি দোকান করে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে। শুধু নতুন শাটার লাগিয়ে নতুন দোকান গড়ে উঠেছে, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা কি ভালো কাজ হয়েছে? ভালো কাজ তখন হতো যখন যে সকল হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাদেরকে সেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হতো। তা তো হয়ই নি, উল্টে বেআইনি দোকান করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। এই তো অবস্থা বীজপুরের।”