অবতক খবর,২৫ ফেব্রুয়ারি: গতকাল বিজেপি দল যে পরিবর্তন যাত্রা শুরু করেছিল তাতে কাঁপা মোড়ে গন্ডগোল হয়েছে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েছে এই নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়েছে বিজেপির। এরমধ্যে ভিড়ে গিয়েছে তৃণমূল দল। ‌কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন যাত্রা রথযাত্রায় পরিবর্তন না হলেও পায়ে হেঁটে কাঁপা মোড় থেকে কাঁচরাপাড়া অঞ্চল দিয়ে এই পথ মিছিল যে বাগমোড় পর্যন্ত গিয়েছে সে সময় দেখা গেল যে তৃণমূল দল নিজে থেকেই বিজেপি দলকে মাইলেজ দিচ্ছে। ‌

বিজেপি দল তাদের এই পরিবর্তন যাত্রার জন্য কাঁচরাপাড়ার মূল সড়ক তাদের পতাকা দিয়ে সাজিয়ে ছিল। তার পাল্টা তৃণমূল দলও তারই পাশে তৃণমূলের পতাকা দিয়ে আরও তাকে উজ্জীবিত করেছে এবং বিজেপি দলকে তারা যে গুরুত্ব দিচ্ছে এটা তাদের কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হয়েছে। কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ওই মূল সড়ক বরাবর লিচুবাগান অঞ্চলে, কালিনগর রোড সংলগ্ন অঞ্চলে, কাঁচরাপাড়া পেট্রল পাম্প সংলগ্ন অঞ্চলে,মিললননগর, জোড়া মন্দির, প্যান্টালুনস শপিং মলের সামনে যেভাবে ডিজে বাজিয়ে ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ বলে জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে তারা চাপা দিতে চেয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তারা বিজেপি দলকে আরও মাইলেজ দিচ্ছে। ‌

এই বিষয়ে তৃণমূল যুব নেতা সুজিত দাস বলেন,এই ধরনের রাজনীতিতে আমি নেই। ‌কারণ এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, এতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।দেখা যায় তিনি তার অঞ্চলে একা চুপচাপ বসে রয়েছেন।

যখন বলা হয় যে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এই যে ডিজে বাজানোর কর্মসূচি, এই যে স্লোগান তোলা হচ্ছে বিজেপির প্রভাবকে ক্ষুন্ন করার জন্য তখন আপনি এভাবে চুপচাপ বসে রয়েছেন কেন? তখন তিনি বলেন যে আমি এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কারণ এভাবে যে প্রচার চলছে, তৃণমূল দলের কর্মীরা করছে তাতে বিজেপিকে আরো সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। এই ধরনের রাজনীতিতে আমার বিশ্বাস নেই। অনেক তৃণমূল তৃণমূল কর্মীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, আসলে তার সঙ্গে নাকি বিজেপি দলের একটা গোপন সেটিং হয়ে গেছে, সেই জন্যই তিনি চুপ রয়েছেন। অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া যে একটা বিজেপির প্রবাহ চলছে তার সঙ্গে যে তৃণমূল দলের লড়াই আসন্ন,সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে।

তবে প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা গিয়েছে যে,এই পরিবর্তন যাত্রা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার মুখে এটা যাতে সাফল্যমন্ডিত হয় তার জন্য নেতৃত্ব দেন, সামনের সারিতে এগিয়ে আসেন শুভ্রাংশু রায়। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পরিবর্তন যাত্রাকে পায়ে হাঁটা মিছিলে পরিবর্তন করে বাগমোড় পর্যন্ত নিয়ে যান। এই দিক থেকে তাঁর একটা কৃতিত্ব রয়েছে।‌ অন্যদিকে বিজেপির যে রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অত্যন্ত উত্তেজনার সঙ্গে বলেন , পুলিশ প্রশাসনের বাধা দেওয়ার জন্য কাঁপা মোড় থেকে বাগমোড় পর্যন্ত এই যে তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ তাকে বা তার দলকে পায়ে হাঁটতে হল এর পরিণাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অদূর ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন।

অন্যদিকে বিজেপির কর্মী সদস্যরা এত উত্তেজিত ছিল যে তারা তারস্বরে চিৎকার করেছে,রথ আসছে রথ আসছে এবং উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়েছে তাতে এলাকার মানুষ অত্যন্ত তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছে। মাইকের মাধ্যমে গান পরিবেশন হলেও তা শ্রুতি মধুর হয় কিন্তু এই কর্কশ চিৎকারে মানুষ অত্যন্ত বিরক্ত অনুভব করেছে। ‌অর্থাৎ এই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এদিন তারও প্রমাণ পাওয়া গেল। ‌কারণ সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন পাড়ার মানুষরা নিজেরাই এই অভিযোগ তুলেছে আমাদের প্রতিবেদক এর কাছে।