অবতক খবর,১০ ডিসেম্বর: কাঁচরাপাড়া অর্থাৎ বীজপুর থানায় প্রশাসনিক রদবদল হলেও চোর যেমন ধরা পড়ছে, অন্যদিকে চুরির সংখ্যাও বাড়ছে। এই যেন চৌবাচ্চার অংক, জল ভর্তির কলটি খোলা আছে আবার জল বেরোনোর পথটিও খোলা। জল বেরোচ্ছে আবার জল ভরছে। যাই হোক এবার স্বনামধন্য এমএলএ, যিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল নেতা ছিলেন পরবর্তীতে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে আবার তৃণমূলে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি বিধায়ক সেই মুকুল রায়ের মামাবাড়িতে চুরি হয়ে গেল নগদ টাকা পয়সা।

অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সুনীত বাবু বলে অঞ্চলে পরিচিত এবং অঙ্ক বিশারদ বলে ও এই অঞ্চলে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি ছিলেন কাঁচরাপাড়ার সেই বিখ্যাত হার্ণেট হাই স্কুলের অংক শিক্ষক সুনীতিরঞ্জন সেনগুপ্ত।
তাঁর বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছে। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় তিনি একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী কুমকুম সেনগুপ্ত এখন বার্ধক্যের দ্বারে উপনীত। তাদের দেখভাল করার কেউ নেই। তিনি থাকেন মুকুল রায় এবং তার স্বনামধন্য পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের বাড়ির একদম সন্নিকট অঞ্চলে। এই প্রসঙ্গে সুনীত বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,তারা এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। তাদের দেখভাল করার কেউ নেই। পাড়া পড়শিরা চুরির ঘটনাটি জানেন।

তাদের প্রশ্ন করা হয় আপনার যে নিকটাত্মীয় মুকুল রায় বা শুভ্রাংশু রায় তাদের বিষয়ট কি জানাননি?তিনি সোজাসুজি বলেন, আমি বিষয়টি জানাইনি। তিনি বলেন,আসলে এমতাবস্থায় তারা কেউই আমার কোন খোঁজ খবর রাখেন না। ফলত আমিও এখন আর তাদের কোনো গুরুত্ব দিই না।

যাই হোক, এমন একটি পরিস্থিতি এই অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে। যেটা বলা প্রয়োজন মুকুল রায়ের মত নেতা যিনি চাণক্য বলে অভিহিত ছিলেন এবং এই অঞ্চলের রূপকার বলে কথিত প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, তাঁর নিকট আত্মীয় এবং সংলগ্ন বাড়ি থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে,এ ব্যাপারে প্রশাসন উদাসীন বা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা এখনো আমাদের কাছে খবর আসেনি।