অবতক খবর,৭ এপ্রিল: আজ বীজপুর বিধানসভার দু’বারের বিধায়ক শিক্ষাজীবী নির্ঝরিণী চক্রবর্তীর শবযাত্রার আয়োজন করা হয়।

৬ এপ্রিল বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। তারপর তাঁর মরদেহ নৈহাটির পিস হেভেনে রাখা হয়।

আজ সকালে সেই মরদেহ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর পেশাগত জীবন যেখানে অতিবাহিত হয়েছিল ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষা হিসেবে সেই মহাবিদ্যালয়ে আনা হয় এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
পরবর্তীতে তাঁর এই শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্যামনগরে তাঁর নিজস্ব নিকেতনে। সেখানে আত্মীয়-স্বজন তো বটেই তাঁর গুণমুগ্ধ স্বজনেরা এবং অন্যতম পার্টি নেতৃত্বের পক্ষে শ্রমিক নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি তাঁকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।

 

কাঁচরাপাড়ার সিপিএম এরিয়া কমিটির পক্ষে এবং এরিয়া কমিটির সদস্য বরিষ্ঠ নেতা শম্ভু চ্যাটার্জী,শঙ্কর বসাক এবং হাবলি সরকার তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন পরবর্তীতে গারুলিয়া সিপিএম পার্টি অফিসে তাঁর দেহ আনা হলে পার্টির সেক্রেটারি অসিত মুখার্জী তাঁর দেহে রক্ত পতাকা দিয়ে আবৃত করে দেন এবং মাল্যদান করেন।
গারুলিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমল চ্যাটার্জী তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে শ্যামনগর রত্নেশ্বর শশ্মান ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হয়।
স্লোগান ওঠে, “কমরেড নির্ঝরিণী চক্রবর্তী অমর রহে।”

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে জন্মসূত্র থেকে যাঁর জীবন কাঁচরাপাড়ার সঙ্গে জড়িত,কাঁচরাপাড়ার ছাত্র রাজনীতি থেকে যাঁর উত্থান,৭২-এর সন্ত্রাসে আক্রান্ত যে কমরেড পরবর্তীতে শিক্ষা সংস্কৃতির জগতে নিয়োজিত এবং একটি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা সেই বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দু’বারের বিজয়ী বিধায়ককে কাঁচরাপাড়ার পার্টি অফিসে অর্থাৎ তাঁর জন্মস্থানে এনে সম্মান জানানো হল না কেন? শেষযাত্রায় কাঁচরাপাড়ার বামমনস্ক মানুষজনকে তাঁকে শেষ দেখা থেকে বঞ্চিত হলো কেন?


এদিকে কাঁচরাপাড়ার অসংখ্য ফেসবুকাররা ফেসবুকে নিজেরা তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাতে অসংখ্য লাইক এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে কমেন্টসও পড়ছে।
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যে,জীবনের শেষ বেলায় তারা তাঁকে কাঁচরাপাড়া নিয়ে আসতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেন এই অনাগ্রহ? এতেও কোনো রহস্য রয়েছে কি?– জনমনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।