অবতক খবর : কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থিত স্টার হোটেল। কিছুদিন আগেই সেখানে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের দেখা গেল সেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। হোটেলের যে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই ঘরেই আগুন লেগে যায়। তবে কি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে?

সপ্তাহখানেক আগে সেখানে যেই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার হত্যাকারী নিজেই জেঠিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল।

অতঃপর হোটেলটি পুনরায় চালু হয়ে যায়।

তবে প্রশ্ন,যে ঘরে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল, তবে ওই ঘরে আগুন লাগল কিভাবে? তবে কি ওই ঘরটি খোলা হয়েছিল?

হোটেলটি চালু হওয়ার পরেই দেখা গেছে সেখানে প্রচুর ছেলেমেয়েরা এসেছিল। অর্থাৎ পুনরায় রমরমিয়ে চালু হয়ে গেছিল হোটেলটি। ২৫শে জানুয়ারি যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই তদন্ত এখনো চলছে। আর তার এক সপ্তাহের মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তবে কি সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হল? সুব্রত দে ওরফে ভোলা এবং সুমন দে,এই দুই ব্যক্তির নাম চলছে হোটেল।

৩ ফেব্রুয়ারি ফরেনসিক টিম, জেঠিয়া থানার পুলিশ এবং হালিশহর থানার পুলিশ যৌথভাবে হোটেলে যায় তদন্তের স্বার্থে। পরবর্তীতে হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হোটেল কর্তৃপক্ষ নিচুতলার কিছু পুলিশ কর্মীদের সহযোগিতায় হোটেলটি পুনরায় চালু করে ছেলেমেয়েদের ঢুকিয়ে রমরমিয়ে ব্যবসা চালু করে দেয়। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর ।

৩ ফেব্রুয়ারি ফরেনসিক টিম সেখানে এসে আগুনে পোড়া ছাই এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। আপাতত হোটেলটি বন্ধ রয়েছে।

এই হোটেলটি তৈরি হওয়ার সময় থেকেই নানারকম অভিযোগ উঠে এসেছে।

অন্যদিকে সূত্রের খবর,রাত ১২টার পর সেখানে চলে ফ্লোর ডান্স। তবে এই সকল বেআইনি কার্যকলাপ কাদের মদতে হচ্ছে? প্রশাসনের কি এইসব দিকে কোন নজরদারি নেই? একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে।