অবতক খবর,সংবাদদাতা, কল্যাণী :: রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন মঙ্গল চৌধুরী।হঠাৎই একটা ফোন আসে, খাবার ছেড়েই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ।এর কয়েক ঘণ্টা পর জানা যায় তার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির অনতিদূরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে।

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার কল্যাণী থানার চরজাজিরা গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ তার মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়। সাথে নিয়ে যায় দেহের সাথে পড়ে থাকা তার মোটরসাইকেলটিও।পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মুখমণ্ডল ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সূত্রে জানা গেছে কল্যাণীর চরজাজিরার বাসিন্দা ২৭ বছরের মঙ্গলের ছিল গাড়ির ব্যবসা।বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় চরজাজিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গ্রামীণ রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে চাপচাপ রক্ত।পাশের দুদিকে পাকা দেওয়ালেও চোখে পড়ে ছিটকে যাওয়া রক্তের দাগ। মৃতের দাদা মনোজ চৌধুরী জানান, মঙ্গলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।কারণ হিসেবে জানান, মঙ্গল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী ছিল ।স্থানীয় কয়েকজন তাকে তৃণমূলে যোগদান করতে চাপ দিয়েছিলেন।

তিনি তাদের নামও উল্লেখ করেছেন ,তার মতে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার জন্যই তাকে খুন করা হলো।তিনি আরো অভিযোগ করেন যে পুলিশ এই ঘটনাকে পথদুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছে।মঙ্গলের বাবা দুখী চৌধুরী এটাকে পরিকল্পিত খুনের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।মাসখানেক আগে স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে মঙ্গলের গন্ডগোল হয়।পুলিশের মধ্যস্থতায় সেটা মিটেও যায়।আঞ্চলিক আশ্রম প্রাঙ্গণে তাকে বসতে না করেছিল ওই তৃণমূল কর্মীরা। সেটা নিয়েই ঝামেলা হয় তখনও মঙ্গল কে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে তার বাবা অভিযোগ করেন।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রামলু মাহাতো এটাকে খুনের ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন ।এদিকে পরিবারের অভিযোগ পুলিশ,খুনের ঘটনা চেপে দিয়ে এটাকে দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছে।

থানায় হাজির হন ব্লক সভাপতি পঙ্কজ সিংহ। তিনি জানান যে মঙ্গল তাদের দলের ছেলে তাকে যারা মেরেছে তারা অবশ্যেই সাজা পাবে। তিনি বলেন পুলিশ তদন্ত করছে পুলিশের উপর ভরসা রাখতে হবে।

অন্য দিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ ঘটনা কে অন্য মোড দিতে চাইছে। কারণ যে গাড়ি ঘটনা স্থলে পড়েছিল সেটি ভাঙা ছিল না কিন্তু থানায় গাড়ি আনার পর তাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। যদি থানায় বসে এই ধরণের কাজ হয়, তাহলে এই পুলিশ কে কি করে ভরসা করা যায়।