অবতক খবর: আপাতত স্বস্তিতে! বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রক্ষাকবচ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে। ‘১৫ জুলাই পর্যন্ত সৌমিত্রর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ’ ,  শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

সৌমিত্রকে স্বস্তি দিলেও বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিচারপতি। ‘সৌমিত্র যে ভাষা ব্যবহার করেছেন বলে পুলিশের দাবি, তা অত্যন্ত খারাপ’। একজন সাংসদের কাছে এ ধরনের ভাষা প্রত্যাশিত নয়, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। ১৩ এপ্রিল সোনামুখী থানায় সৌমিত্রর বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর । সেই মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ আদালতের কাছে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন। আদালতে তাঁর আবেদনে সৌমিত্র জানিয়েছেন, সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।

প্রসঙ্গত,বাঁকুড়া সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটির অধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীগুলির প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে কোষাধ্যক্ষ এবং দুটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় সোনামুখী। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিজেপি।সেই আন্দোলনের সূত্রে সোনামুখীতে পথসভা করেন সৌমিত্র। সভায় বিজেপি সাংসদ থানার আইসিকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন। এমন কী তাঁকে তুই-তোকারিও করেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। তহবিল তছরুপের ঘটনায় আইসি তোলা নিয়েছে বলেন অভিযোগ করেন সাংসদ। গত ১১ এপ্রিলের সভা থেকে সৌমিত্র খাঁ আইসিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’আমরা আইসিকে হাইকোর্টে ডেকে পাঠাবো। তারপর কী করা যায় দেখব।’