অবতক খবর,১৪ ডিসেম্বরঃ গতকাল কলকাতা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা একটি নাগরিক মিছিলের করেছিলেন। সেই মিছিলে যোগদান করেছিলেন আলিয়া, যাদবপুর, কলকাতা, প্রেসিডেন্সি কলেজেরও অনেক পড়ুয়ারা। মিছিলে ছিলেন সমাজসেবী, ডক্টর। মিছিলটিতে কোনো রকম যে রাজনীতির রং নেই সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তবে মিছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ক্রস করতেই অনেক পড়ুয়াদের মধ্যে সরকার বিরোধী স্লোগানও শোনা যায়।

প্রসঙ্গত গত 12 ডিসেম্বর সাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতা মেডিকেল কলেজের অনশন মঞ্চে এসে অনশনরত পড়ুয়াদের বোঝান এই অনশন তুলে নিতে, আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচনের দিন ফিক্সড করতে। তবে স্বয়ং মন্ত্রীও সেইদিন বরফ জলে পরিণত করতে পারেননি। তাই সেইদিনই তিনি মেডিকেল কলেজ বলে যান পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে পিছন থেকে কেউ প্রভাবিত করছেন।

তারপরে গতকালকে সচিব পর্যায়ে বৈঠক ছিল, তবে মন্ত্রী ও যেহেতু বরফ জলে পরিণত করতে পারলেন না, সেখানে সচিব পর্যায়ে বৈঠক হলে বরফকে আদৌ জলে পরিণত হবে..!!! এই নিয়ে একটা সংশয় দেখা দেয় স্বাস্থ্য ভবনে, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। তাই গতকাল বৈঠক বাতিল হয়।

আজ হিসাব মত, অনশনের সপ্তম দিন। যদি সত্যিই ছাত্ররা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে, তাহলে এই জল কোথায় গিয়ে থামবে?? ইতিমধ্যেই ঋতম অসুস্থ হয়েছেন? আরো দুজন অনশনে যুক্ত হয়েছে।। এভাবেই কি একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হবেন?

মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, অনশনকারী প্রত্যেকটি পড়ুয়ার বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।। এবং তারপরেই আজ অনশনরত পড়ুয়াদের মধ্যে সাবিত নামক এক পড়ুয়ার বাবা-মা অনশন মঞ্চে এসেছেন। ছেলেকে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন তারা। তারাও চান ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।