কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার লড়াই শুরু ইতিমধ্যেই

অবতক খবর,১৯ ডিসেম্বর: আজ কলকাতা পুরসভার ভোট। তৃতীয়বারের জন্য কি আবারও ‘ছোট লালবাড়ি’র দখল নিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির? রবিতেই তার ফয়সলা হয়ে যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে একবছরের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল কলকাতা পুরসভার ভোট। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার লড়াই শুরু ইতিমধ্যেই। সব দলেরই পাখির চোখ ধর্মতলার ছোট লালবাড়ি, কলকাতা পুরসভা। তার আগে শনিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলেছে পুলিশের রুটমার্চ। ভোটের ফল বেরবে ২১ ডিসেম্বর।

বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১২৬টি ওয়ার্ড। ঘাসফুল শিবির অন্তত ১৩৫টি আসনে জিততে চাইছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালে ৫টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেই আসন বিজেপি ধরে রাখতে পারবে নাকি তাতেও ধস নামবে তা নিয়েও নানা চর্চা চলছে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে শহরে এসে গিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের উপস্থিতিতে হবে ভোট গ্রহণ। শান্তি পূর্ণ ভোট করাতে সঠিন নিয়ম মেনে চলছেন তারা। ভোটের দিন যাতে, কোথাও কোনও রকম সমস্যা দেখা না দেয়, সেই দিকে বিশেষ নজড় দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা।

শুক্রবার বিকেল থেকেই সব বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। নিষিদ্ধ বাইক র‍্যালি, জমায়েত। এবার কলকাতা পুরভোটে থাকছে ২৩ হাজার পুলিস। ৫০ জায়গায় নাকা তল্লাশি। ২০০টি পুলিস পিকেট। প্রস্তুত ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৪৪ ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯টি। প্রধান বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩৯টি এবং অতিরিক্ত বুথ ২২০টি।

এদিকে ১৬টি বরোর ১১৩৯ টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ, স্পর্শকাতর ৭৮৬। পুরভোটের আগে এভাবেই স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। ভোটের দিন ২৩ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র পুলিস বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সব বুথ, স্ট্রং রুম এবং গণনাকেন্দ্রে থাকছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি। ভোটের দিন কোনও ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে, প্রশাসনের তরফে জারি ১৯৫০ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারবে সাধারণ মানুষ।