কলকাতা থেকে গোয়ালপোখরে নবনির্মিত দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

অবতক খবর, সংবাদদাতা, গোয়ালপোখর :: গোয়ালপোখরে নবনির্মিত দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন হলো অবশেষে। বুধবার কলকাতা থেকে এই দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী মুহূর্তে দমকল কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে সকলকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা গোয়ালপোখর এর বিধায়ক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন এর পাশাপাশি তিনিও ভীষণ খুশি। এই জেলাতে যে পরিমানে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তা এর আগে একশ বছর যুদ্ধ করেও পাওয়া যেতনা।

গোয়ালপোখরের গতি এলাকায় তৈরি হল নতুন দমকল কেন্দ্র। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, গোয়ালপোখরের বেঙ্গল টু বেঙ্গল সড়কের লাগোয়া এলাকায় ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে দমকল কেন্দ্রটি তৈরি করা হল।২০১৭ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ালপোখরের  নতুন দমকল কেন্দ্র শিল্যানাস করেছিলেন। গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়ায় এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ  থেকে ইঞ্জিন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হত বলে অগ্নিনির্বাপণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

পূর্ত দফতর সূত্রের খবর , নতুন দমকল কেন্দ্রটি হয়েছে তিন তলার। এর ভূগর্ভে থাকছে জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রিজার্ভার। তার উপরে দমকলের ইঞ্জিন রাখার জায়গা। যেখানে দু’টি দমকল ইঞ্জিন সব সময় থাকবে। দুই তলায় থাকছে দমকল কর্মীদের থাকার জায়গা। তিনতলায় দমকলের প্রশাসনিক দপ্তর।  রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতরের এক কর্তা জানান, এই নবনির্মিত দমকল কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় গোয়ালপোখর,চাকুলিয়া এবং করণদিঘির এলাকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।

চাকুলিয়া , গোয়ালপোখর,এবং করণদিঘির এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন দমকল কেন্দ্র হওয়ায় এই সব এলাকার বাসিন্দারা তাই বেশ খুশি। পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা ফিরোজ খানের কথায়, ‘‘দিনের পর দিন এলাকায় বসতি বাড়ছে। নতুন দমকল কেন্দ্রটির ফলে আমাদের সুবিধে হবে।’’এ সমস্ত এলাকায় মাঝে মধ্যে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে ইসলামপুর এবং রায়গঞ্জ থেকে দমকল দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় আগুন লাগলে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছানোর আগে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। দেরিতে হলেও দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, এই এলাকায় দমকল কেন্দ্রের জরুরি ছিল। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম।

মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে গোয়ালপোখরে দমকল কেন্দ্র  করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই এলাকায় অনেক ঘিঞ্জি বসতি এলাকাও রয়েছে। রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘অনেক দিন আগেই এই এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র হওয়া দরকার ছিল। এলাকার গুরুত্ব বিবেচনা করেই এখানে বাড়তি জলের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়াল পোখর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোলাম রসুল সহ ব্লকের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।