অবতক খবর,৭ফেব্রুয়ারি: ক্ষমতা,পদ এই গণতান্ত্রিক দেশে খুবই বড়। ‌বহু কাউন্সিলরেল নাম উঠে এসেছে পিকের হিট শিটে। কলকাতায় সেই সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। কাউন্সিলররা সকাল হলেই ভেট নিয়ে উচ্চতর নেতৃত্ব বা তার পরিচিত মন্ত্রী বা নামজাদা সাংসদের কাছে ছুটছেন। ‌দাদা এবার পদ থাকবে তো? পাবো তো? এখন কলকাতায় এমন একটি অবস্থায় চলছে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ‌

ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পদ পাওয়া মানেই কামাইক্ষেত্রের মালিক– কৌন বনেগা ক্রোড়র পতি!! সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রগুলো মৃগয়ার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।ফলত সামনের যে নির্বাচন কলকাতা কর্পোরেশনের,সে ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব সতর্ক থাকতে হচ্ছে। ১৬টি সাংসদ হাতছাড়া হওয়া মুখের কথা নয়। গেরুয়া প্রবাহ বাড়ছে এবং অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তা সুপ্রিমোর চালচলনেই, কর্মসূচি, বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণে বোঝা যাচ্ছে।

পিকে মারফত তিনি বুঝতে পেরেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ হবে তার সেমিফাইনাল পর্ব হবে এই কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন।‌

সূত্রের খবর,১৭ টিরও বেশি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। জনকামাইয়ের সঙ্গে এরা জড়িত। ‌এখন আর আমরা অর্থ কামাই বলছি না, জনকামাই বলছি। জনবিরোধী কার্যের সঙ্গে এরা যুক্ত। ‌অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে জনপরিষেবা তারা দিয়েছেন তার বদলে তারা ওই যে সেই পুরনো শব্দটি যা প্রথমে খুব সরবে চালু হয়েছিল, এখন প্রায় মিলিয়ে যাচ্ছে, সেই কাটমানি শব্দটি– ‌ সেই কাটমানি খেয়েছেন কাউন্সিলররা। সুতরাং তারা ভয়ে আছে।

সুপ্রিমোকেও বিভিন্ন সভায় ধর্মীয় আচরণ করতে হচ্ছে, গামছা গলায় দিতে হচ্ছে। গামছা গলায়,ঘাড়ে, কাঁধে রাখেন শ্রমজীবীরা। এখন তিনি গামছা গলায় দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, আমার গলাকে বিশ্বাস করুন,এমন উচ্চারণ তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে। ‌তিনি প্রতিমুহূর্তে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন। গতদিনও বনগাঁ এবং রানাঘাটের সভায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ‌সুতরাং কাউন্সিলররা ভয়ে তটস্থ অবস্থায় রয়েছেন।

‌কি করে সামাল দেবেন এই পরিস্থিতি? অনেক কাউন্সিলর মনে মনে এই সান্ত্বনা পাচ্ছেন যে,পিকে যেই রিপোর্ট দিন না কেন সেই রিপোর্টে উল্টে যেতে বাধ্য একমাত্র সর্বময় কর্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।‌ পিকের রিপোর্ট সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গেলেও সুপ্রিমোর হাত যদি তার ওপরে থাকে তবে তিনি পিকেকে কোন তোয়াক্কা করবেন কেন? কারণ পিকের চেয়ে দিদি অনেক বড়।