অবতক খবর,২৩ জানুয়ারি : নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার শহিদ মিনারে সোমবার সভা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন আরএসএস-এর পশ্চিমবঙ্গের নেতারা। বিজেপির প্রথম সারির অনেক নেতা আরএসএস-এর পোশাকে উপস্থিত ছিলেন সেখানে। শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারও উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর পাশাপাশি বক্তৃতা করেন মোহন ভাগবত। নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার বুকে আরএসএস-এর এ রকম সভা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। তাই এই সভার রাজনৈতিক গুরুত্ব কম নয়।

নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার শহিদ মিনারে সভা থেকে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বক্তব্য –

  • মেরিট অনেকের কাছেই থাকে। মেরিট থাকলেই হয় না। মেরিটের উপযুক্ত ব্যবহার প্রয়োজন। নেতাজি তা করেছিলেন।
  • নেতাজি সব গুন আমাদের মধ্যে থাকা উচিত। কংগ্ৰেস সঙ্গে ছিল কিন্তু যখন বুঝেছে এ ভাবে চলবে না, তখন নিজেই লড়াই করেছেন। নেতাজী যা লক্ষ্য, আমাদের সঙ্ঘেরও সেই লক্ষ্য। সেই কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ ।
  • সংঘের কাজ নেতাজির পথে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলো।  হাত উপর নিচে করো কিন্তু সবাইকে নিয়ে করো। সঙ্ঘের শাখায় এটাই শেখানো হয় ।
  • নেতাজি সমষ্টি জন্য ভাবতে বলেছিলেন। ব্যক্তির জন্য ভাবতে বলেননি। এটাই ভাবতে হবে আমাদের। ব্যক্তির উন্নতি নয়।  সমাজের জন্য ভাবো।
  • নেতাজি কখন দেশের মধ্যে নিজেদের মধ্যে বিরোধ করেননি।
  • আমরা নির্বাচনে লড়ি না। আমাদের কোনও নামের দরকার নেই। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা।
  • নেতাজি অনেক পড়াশোনা করেছিলেন। ইংরেজ সরকারের চাকরি করতে পারতেন। মোটা টাকা উপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু দেশের জন্য সব ত্যাগ করেছেন। এটা ছিল তাঁর সারা জীবনের তপস্যা।
  • এই তপস্যা হাসতে হাসতে তিনি করেছিলেন। দেশের জন্য করেছিলেন। নিজের নাম হবে এই ভেবে করেননি। নিঃস্বার্থতার আদর্শ নেতাজির জীবন।
  • তপস্যার জন্য কঠোর পরিশ্রম। দেশের জন্য যে কোনও ধরনের সাহস। নিজের জীবন বিপন্ন করে দেশের হয়ে কাজ করা তাঁর জীবনের আদর্শ।
  • নেতাজি যে দেশের জন্য লড়তেন। সেই দেশেই তাঁর বিরোধী ছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের পক্ষপাতী ছিলেন না নেতাজি।
  • নেতাজি ছিলেন আদর্শ নেতা। সবাইকে নিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সকলের সঙ্গে সুবিধাঅসুবিধা মানিয়ে নিয়ে চলতে পারতেন। নিজে রণাঙ্গনে গিয়ে যুদ্ধও করতেন।
  • ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাহিনী তৈরি করে নেতাজির লড়াইকে কু্র্ণিশ মোহন ভাগবতের।
  • কংগ্রেসের সঙ্গে আন্দোলন করেছিলেন নেতাজি। সমাবেশ করেছিলেন। কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন সশস্ত্র আন্দোলন প্রয়োজন। তখন নিজের পথ বদলালেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল এক।
  • ভারত সমস্ত দুনিয়াকে ধর্ম দেয়। এ ধর্ম রিলিজিয়ন নয়। সম্পূর্ণ দুনিয়াকে এক রাখামানবতার উন্নয়ন করা। এ সবের জন্য যে সংযমের দরকার হয়। যে শিক্ষার দরকার। তা গোটা বিশ্বকে দেয় ভারত। এ জন্য সারা দুনিয়া ভারতের দিকে তাকিয়ে।
  • নেতাজি বলছিলেন, ভারতবর্ষ পৃথিবীর ছোট রূপ। সংসারের সমস্ত সমস্যা ভারতে রয়েছে। ভারতের সমস্যা সমাধান করল বিশ্বের সমস্যার সমাধান হবে।