কি ক্ষতি করেছি, কেন আমায় মারছো?
তমাল সাহা

স্মৃতির ঝুল বারান্দায় কখনো কখনো নষ্ট হয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফির মত কিছু কিছু ছবি ভেসে ওঠে।

তিনি জন্মেছিলেন। তিনি মারা গিয়েছিলেন তিনি মারা গিয়েছিলেন নয়, খুন নিহত হয়েছিলেন।
তিনি নিশ্চিত অজাতশত্রু ছিলেন। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ট্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি খদ্দর পরতেন। তার প্রিয় খাবার ছিল মুড়ি-তেলেভাজা।

তিনি কেন মারা গেলেন, কেন তাকে খুন করা হলো– এটা এখনো জানা গেল না। রাজপথে প্রকাশ্যে তিনি খুন হলেন। শ্যামপুকুর স্ট্রিট দিয়ে তিনি হাঁটছিলেন। আততায়ীরা তাকে বোমা মারলো। তাতেও তারা নিশ্চিন্ত হলো না। দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছিল। মৃত্যুকালে তিনি শুধু বলেছিলেন, আমি তো কোনো ক্ষতি করিনি। তোমরা আমাকে মারছো কেন?

তার অসহায় মৃত্যু, আর্তনাদ তাকে খুন সত্তর দশকের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্যতম নেতা ছিলেন। সমাজতন্ত্রের পথে তিনি হাঁটছিলেন।

হেমন্ত বসুর কথা মনে পড়ে যায়। তিনি খুন হয়েছিলেন ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১। তিনি মাটিতে পা রেখেছিলেন ৫ অক্টোবর ১৮৯৫।