অবতক খবর,২৪ জানুয়ারি: কোন যুক্তিতে শহরে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ?, জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। অ্যাসোসিয়েশন অব রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তারই শুনানি ছিল। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই শুনানি হয়। সেখানেই বিচারপতি জানতে চান, কোনও আইন ছাড়া কীভাবে মেয়র হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দিলেন? আদালতের নির্দেশ, কলকাতা বা বিধাননগরে কোনও হুকা বার বন্ধ নয়। বিচারপতি মান্থা এদিন জানতে চান, কেন হুক্কা বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য চাইলে আলাদা আইন আনতে পারে। কিন্তু পুলিশ এভাবে হুক্কা বার বন্ধ করতে পারে না। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, হুক্কা শুধুমাত্র ধূমপানের অঙ্গ। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, যতক্ষণ না রাজ্য আইন আনছে, কলকাতা পুরনিগম বা বিধাননগর পুরনিগমের কোনও অধিকার নেই হুক্কা বার বন্ধ করার। বিচারপতি বলেন, আইন মোতাবেক রেস্তোরাঁয় হুক্কা বার চললে তা বন্ধ করা যায় না। কারণ, সেখানে হুক্কা বার খোলার জন্য আলাদা করে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া থাকে।

গত মাসেই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হুক্কায় যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব। যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা এটি বন্ধ রাখুন।” এরপরই কলকাতার রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন আদালতে মামলা করে।
মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘মেয়র কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? প্রয়োজন হলে, কোথাও হুক্কায় কিছু মেশানো হচ্ছে কি না তা অনুসন্ধান করুন। কিন্তু পুরসভার কোনও অধিকার নেই তা বন্ধ করে দেওয়ার। সিগারেট থেকে একটা বিরাট অর্থ রাজ্যের কোষাগারে যায়। রেস্তোরাঁয় হুক্কার জায়গাও আলাদা হয়। নিকোটিনও হার্বাল হলে আপত্তি কোথায়? নারকোটিক হলে সমস্যা হওয়ার কথা।’