করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপ

অবতক,২ এপ্রিল: করোনা বিশ্বগ্ৰাসী এক মহামারী রোগ,দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই শতাব্দীর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এটি একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।

একটি সামান্য ভাইরাস সমগ্র পৃথিবী তোলপাড় করে ফেলেছে। তারমধ্যে মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছে পৃথিবীর জনবহুল দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষের রেল দপ্তর একটি উল্লেখযোগ্য দপ্তর। সেই দপ্তর করোনা প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

দূরপাল্লার প্রায় ৫০০ ট্রেনে আইসোলেশন কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টার্গেট–কোচের সংখ্যা হবে ২০ হাজার। এই মুহূর্তে তৈরি হচ্ছে ৫ হাজার।প্রতি সপ্তাহে ১০টি করে এই আইসোলেশন কোচ তৈরি হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রেল ওয়ার্কশপে। ১৫ বছরের পুরনো নন এসি আই সি এফ কোচগুলোকে এই কাজে লাগানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য এতে ইষ্টার্ন জোনে কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ ৪০টি এই আইসোলেশন কোচের বরাদ্দ পেয়েছে।কাঁচরাপাড়ার প্রায় ২০০ জন দক্ষ রেলকর্মীকে এই বিশেষ কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন করে রোটেশনালভাবে কর্মীদের কাজ করানো হচ্ছে।
কোচকে আইসোলেশনে রূপান্তরিত করার জন্য চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী সব রকম পরিষেবা যন্ত্রপাতি এতে থাকবে এবং এটি একটি আধুনিক আইসোলেশন কোচে রূপান্তরিত হবে। ইতিমধ্যে ২টি কোচ তৈরি হয়ে গেছে কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে।
কোচে যে সমস্ত যাত্রীরা করোনা আক্রান্ত বলে অনুমান তাদের দেখভালের জন্য সর্বাধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে রেল দপ্তর।

এই কোচে থাকছে কীটপতঙ্গরোধী নেট লাগানো জানালা, শুদ্ধ জলের ব্যবস্হা, প্যারা মেডিক্যাল স্টোর ও তার স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা, ওয়াশ বেসিন, গার্বেজ বক্স,অ্যাটাচ বাথ, অক্সিজেন সিলিন্ডার,মশারি এবং অন্যান্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সরঞ্জাম।

প্রসঙ্গত, এইভাবে একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী nCovid-19 প্রতিরোধে কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে।