অবতক খবর, অনুপকুমার মণ্ডল, নদীয়াঃ দোল উৎসবে আগেই বাজারে ভরে গেল নানা কালারের রংয়ের ডালি । তবে এবার দোল উৎসবে পাওয়া যাচ্ছে চিনা কালারের রং। এখন আবার আধুনিক স্প্রে রং ও বাজারে এসেছে যা চোখে পড়ার মতো ।তবে বাজারে এইসব নানা কালারের রং এর রমরমায় প্রশ্ন উঠেছে রংয়ের গুণমান নিয়ে।

দোলে রং খেলার জন্য মনটা অস্থির হয়ে ওঠে সবারিই লাল-নীল-সবুজ বিভিন্ন রং যখন মানুষের মুখে গায়ে লাগায় তখন কেমন যেন অচেনা হয়ে যায় সেই মানুষটি।সকাল বেলা থেকেই প্রস্তুত হয়ে যায় কচিকাঁচার দল। আবার দেখা যায় ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের গায়ে যাতে সরাসরি রং না লাগে সে দিক তাকিয়ে তারা গায়ে তেল অথবা ক্রিম মেখে রং খেলতে বেরোয়। ছোটবেলাতে ও আমরা দেখেছি মা-বাবা ও ঠাকুরমাও সবার গায়ে ক্রিম লাগিয়ে দিত রং খেলার আগে যাতে সরাসরি গায়ে রং না লাগে।তবে বাজারে নানা ধরনের যেসব রং আছে তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক রড়েছে সেটা অনেকেই মনে করছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে ভেষজ রং।

নদীয়া, কৃষ্ণনগর ,চাকদা, শিমুরালি, কল্যাণী বাজারে দেখা গেল রাস্তার দু’পাশে দিয়ে পিচকারি ,রঙের দোকান বসে গিয়েছে। নানা আকারের পিচকারী’পাশাপাশি রয়েছে কৌটো ভর্তি রং দোকানদাররা বলছে যেভাবে প্রতিবছর রং বিক্রি হয় এই বছর তেমনি বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকেই বলছে চাকদহ বাজারে এ বছর চায়নাস্প্রে রং এসেছে তা বডিস্প্রে মতই গোলাপি, কমলা ,লাল ,সবুজ ,রংয়ের পাওয়া যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ভেষজ আবিরের খোঁজ করলেও বেশি দামের ফলে চাহিদা কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভেষজ আবির করার জন্য অল্প জায়গায় উৎপাদন করা হয় তাই উৎপাদনের খরচ বেশি। ভেষজ আবির, রং ভালোভাবে উৎপাদন হলে দাম কম হতো এবং চাহিদা হত বেশি।

বাজারে যেসব আবির বিক্রি হচ্ছে তার দাম বেশি না হওয়ায় চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। অনেক ব্যবসায়ী একই সুর মিলিয়ে বলেন ১০০ গ্রাম সাধারন আবিরের দাম যদি ১২ টাকা হয় তবে ভেষজ আবির এর দাম কুড়ি টাকা কোন সমস্যাই নয়। তবে যে যাই বলুক না কেন সব তর্ক-বিতর্ক পিছনে ফেলে আবির খেলায় মারবে নদীয়া জেলার মানুষ।