রাষ্ট্রের চাপ?
ভারভারা রাওয়ের ৬৫ টি কবিতার সংকলন প্রকাশ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলো পেঙ্গুইন।

কবিতা কি করতে পারে
তমাল সাহা

কবিতা কি কি করতে পারে
সেটা আমার কাছে বড় নয়।
কবিতা কি কি করতে পারেনা
হে ভারতবর্ষ সেটাই তুমি আমাকে বলো।

আমি তো আগেই বলেছি ভারভারা রাও-এর মধ্যে
দুটি ‘ভ’ কেন।
প্রথম ভ-য়ে ভাত–
ভারভারা রাওয়ের ভাতের পক্ষে লড়াই
দ্বিতীয় ভ-য়ের প্রতিনিধিত্ব করে ভয়।
কার ভয় কেন ভয় সে তো সকলেই জানে।

অশীতিপর এই মানুষটি
ভয়কে তুড়ি মেরে উপেক্ষা করে
ভারতবর্ষের কয়েদ ঘরে–
একজন কবি ইতিহাস রচনা করে
ভারতবর্ষের ভৌগোলিক চত্বরে।

তার তীরন্দাজি শব্দবাণ বিদীর্ণ করে রাষ্ট্রের বুক–
তার বইয়ের প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে রাষ্ট্র বাধ্য হয়
এটা নিশ্চিত রাষ্ট্রের পরাজয়।

বর্ণমালা কি সত্যিই কি স্তব্ধ করে দেওয়া যায়
স্তব্ধ করে দেওয়া যায় শব্দশক্তি?
প্রকৃতি বর্ণময়
অন্তর্নিহিত শব্দ খেলা করে প্রকৃতির গভীরে–
অরণ্য পাহাড়-পর্বত নদী-সমুদ্র
সূর্যোদয় সূর্যাস্ত বর্ণিল। কোথায় শব্দ নেই যে শুনতে পায়না সে তো বধির!

সমস্ত প্রকাশন দপ্তরগুলি বন্ধ করে দাও তুমি
বন্ধ করে দাও মুদ্রণ শিল্প।
ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের হাতে তার কবিতার বর্ণমালা সাজাবে
সেইসব বর্ণময় শব্দগুলি লিফলেট হয়ে ইশতেহারের মতো ছড়িয়ে পড়বে জনপ্রান্তরে।

ভারভারা শব্দটির উৎস ভারত–
কে যেন বলেছিল একদিন আমাকে
আশ্চর্য স্বরে
কবিতা কতদূর যেতে পারে!
কবিতা কি না করতে পারে!

পরীক্ষা তো হয়েছে অনেক অনেকবার–
জেলখানা ফায়ারিং স্কোয়াড বধ্যভূমি
কবি কি কিছু পরোয়া করে!