বিশ্ব কবিতা দিবসের মরসুম চলছে। আমার কবিতা দিবস প্রতিদিন। কবিতা মানুষের আর মানুষের কবিতা। কবিতা ও মানুষ একাকার, পরস্পরের পরিপূরক

কবিতাসু
তমাল সাহা

কবিতাকে নিয়ে খেলি দিবস রজনী,
বাকিরা কবিতা লেখে– আমি তা পারি না।

শব্দখেলা মানে কি কবিতা লেখা?
কবিতা লেখার কি নিয়ম,প্রকরণ আছে?
যদি থাকেও বা তা ভাঙতে দোষ কি?
শাসন ভাঙে,সমাজভাঙে,কবিতাও ভাঙে।
না ভাঙলেও আমরা ভাঙবোই।

কবিতার বিষয় কি?
সবই কবিতার বিষয়— সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত,জ্যোৎস্না,খরাবন্যা,ধর্ষণ,বোমাবাজি,খুন,
দাঙ্গা। সবই লেখার বিষয়—
এসব আমরা কবিতায় নিয়ে যাবো।
কারণ মানুষকে শোনাবো,জানাবো।
কবিতাকে শ্লোগান বানাবো,শ্লোগানকে কবিতা।
হিম্মত যদি থাকে যে পারে রুখুক আমাদের। নজরুল,সুকান্ত,মুকুন্দ,ব্রেখট,মায়াকোভস্কি, নাজিম হিকমত আমাদের পথ,
আমাদের উত্তরাধিকার।

এসো,
সুপ্রভাত শব্দটি নিয়ে আজ লিখি।
কবিতায় নিয়ে আসি সুপ্রভাতের সংবাদ।

আকাশে মেঘ করে আসে— বিদ্যুৎ,বজ্র বুকে নিয়ে বিস্ফোরক হয়ে ওঠে নীলিমা, ক্ষেপণাস্ত্র ঘুরে যায় আমাদের মাথার উপরে।
খরা,বন্যা তো আছেই সঙ্গী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে আসে আমাদের উপরে।
নগ্ন হিংসা রক্তচোখে ছুটে আসে
ভেঙে পড়ে মন্দির, মসজিদ।
ভোরের নামাজ, সন্ধ্যার আরতি চুরমার হয়ে যায়।

তবুও সুপ্রভাত শব্দটি
খোঁজে দুনিয়ার মানুষ,বিশ্ব মানবতা।
মানুষই একমাত্র জীব যার ভয় নেই।
অন্ধকার এসেছে কাপুরুষের জন্য,
সে তো সেখানে মুখ লুকোবেই।
আমরা মানুষ ভাসি আলোর উদ্ভাসে।

পথে দেখা হলেই পথিক শুধোয়, কুশল সংবাদ, ভালো আছো তো!
সুসংবাদের কতো প্রিয় অভিলাষ!
লক্ষ কোটি সুপ্রভাত জানিয়েছে প্রভাতপ্রেমী।
বলছে সামান্য একটিমাত্র শব্দে
তুমি জেগেছো, জেগে আছো?
আমি জেগে আছি…

এসো, বাইরে এসো
দেখো পূর্ব দিগন্ত আলো হয়ে আসে
সূর্য নরম রোদে রঙিন
বন্ধু! সুপ্রভাত, সুপ্রভাত ….