কৃষ্ণপক্ষের রাত্রি নেমে আসে বুঝি!
কবির কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যাবে কি?

কন্ঠের অভিযাত্রা
তমাল সাহা

এক)
সোচ্চার

এখন আর নেই সেই হিটলারি ফ্যাসিবাদ
কর্পোরেটিয় কৌশলে নেমে আসে নীরব সন্ত্রাস
আধা ফাসিস্ত পুরো ফাসিস্ত সেই সব বরবাদ
এখন নয়া প্রক্রিয়ায় শাসক খেলছে তাস

রাত্রে চুপিসাড়ে ছোটাও কালো গাড়ি
ঘিরে ফেলো কলমচির বাড়ি
ফ্যাসিবাদের পুরনো তত্ত্ববুলি ছাড়ো
মানুষকে করো জড়ো

এ এক নয়া ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস
লড়াই ছাড়া আর কিছুতেই রেখো না বিশ্বাস

তবে কি কবি পাচ্ছে ভয়?
সে তো মানুষে রেখেছে বিশ্বাস, হয় জয়, নয় পরাজয়!

দুই )
মানুষ ছাড়া কবির কিছু নেই

মানুষের কি পরাজয় হবে?
লেখকের কলম কী স্তব্ধ করে দেবে!
এখন আর কি করতে পারি
তোমরাই বলো, কোথায় বল?
মানুষই তো কবির একমাত্র সম্বল।

শাসকের মুখোমুখি কবি—
রাষ্ট্রীয় বুট সামনে দাঁড়িয়ে
কিছু পারবে কি করতে চোখ রাঙিয়ে?

কবির মাথা থাকবে চিরকাল উঁচু
শুধু মানুষের কাছে, শুধু মানুষের কাছে
অবনত সে, হতে পারে নিচু।