অবতক খবর,২৫ জুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন সুবোধ অধিকারী প্রার্থী হিসেবে ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন তখন তিনি বহু মানুষের কাছে কথা দিয়ে বলেন যে, “আপনাদের সমস্ত সমস্যা আমরা শুনবো, আপনাদের অভাব-অভিযোগ আমরা মেটাবো।”

এ তো ভোটের আগে কমবেশি সকলেই বলে থাকেন। এ আবার নতুন কি! একবার গদিতে বসলে নেতারা ভুলে যান তাঁদের প্রতিশ্রুতির কথা।
তখন মানুষ বলেন,’বিধায়ককে তো ভোটের সময়েই দেখা যায়। আর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁর বাড়ির বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অথবা খুশি করতে হয় তাঁর চ্যালাদের। তবেই মানুষ দেখা করতে পারবেন বিধায়কের সঙ্গে এবং নিজেদের সমস্যা জানাতে পারবেন।’

কিন্তু বীজপুরের চিত্রটা এখন অন্যরকম। মানুষকে অবাক করে দিয়ে বিধায়ক সুবোধ অধিকারী একে একে পূরণ করে চলেছেন মানুষকে দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি।

মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন যে, সুবোধ অধিকারী বিধায়ক হয়ে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কম মিশছেন, তিনি সময় দিচ্ছেন তাঁর দলের গ্ৰাউন্ড লেভেলের কর্মীদের এবং কাজ করছেন সাধারণ মানুষের জন্য। এই দেখে তো মানুষ হতবাক। শেষে মানুষ বলেই বসছেন, ‘তিনি বিধায়ক? নাকি আমাদের পাড়ার ছেলে।’ কথাটি অবিশ্বাস্য হলেও,এটাই সত্যি। মানুষ এখন সুবোধ অধিকারী সম্পর্কে এই কথাই বলছেন।

কারণ হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় গেলেই মানুষ দেখা পাচ্ছেন তাঁর। তিনি প্রতিদিন এই দুই পৌরসভায় বসছেন। মানুষের সঙ্গে দেখা করছেন এবং তাদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন।

পৌরসভায় এমন অনেক মানুষ আসছেন যাদের অতি সত্ত্বর ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। তিনি তাদের সেই ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন। এইরকম অনেক অভিযোগ শুনে তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করেছেন তিনি। আর এর সাক্ষী রয়েছি আমরা অর্থাৎ অবতক খবর।

সেইরকম কয়েকটি অভিযোগের কথা আমরা পাঠকদের জানাচ্ছি।

১.অভিযোগ আসে এক যুবতীর দুই দিন পর বিয়ে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাত্রপক্ষ জানায় যে,পাত্রীকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। বিপাকে পড়েন পাত্রীপক্ষের পরিবার। আর তারা এই অভিযোগ নিয়েই সুবোধ অধিকারীর কাছে আসেন।
এই ঘটনা শোনা মাত্রই বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী পরের দিনই ওই পাত্রীকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দেন।
কাঁচরাপাড়া মানিকতলা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই পাত্রীর আজ বিয়ে। মহানন্দে বিবাহের তোড়জোড় চলছে।

২.ঠিক এইরকমই আর একটি অভিযোগ নিয়ে বিধায়কের কাছে আসে এক যুবক। যুবকটি বিধায়ককে জানায় যে,সে যেই বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করে,সেই কোম্পানীর তরফে জানানো হয়েছে,ভ্যাকসিন না নিলে চাকরি থাকবে না।
এই কথা শুনেই বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ওই যুবকের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দেন।

শুধু এই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অভিযোগই নয়, পারিবারিক, সামাজিক সমস্ত অভিযোগ অর্থাৎ বীজপুরের মানুষ যখন যেরকম অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে আসছেন, তিনি সমস্ত বিষয়টি শুনে সমস্যার সমাধান করছেন।

যেভাবে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তা দেখে বিস্মিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আর সেই কারণেই বীজপুরের মানুষ তাঁকে এতো ভালোবাসছেন, আশির্বাদ করছেন,শ্রদ্ধা করছেন।

মানুষ বলছেন, এইরকম বিধায়ক আমরা আগে দেখিনি। তিনি যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তা প্রশংসনীয়।

অন্যদিকে বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর একটি টিম সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে।‌ তারা ফোনের মাধ্যমে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন, সমস্যার সমাধান করছেন।

বীজপুরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন বিধায়ক তাঁর বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত পৌরসভা গুলিতে বসছেন মানুষের জন্য। বিশেষ কোন কারণ বশত যদি তিনি উপস্থিত থাকতে না পারেন,তবে তাঁর পরিবর্তে তাঁর টিম পৌরসভায় কাজ করছে মানুষের জন্য।

এক ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে বহুদিন আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু এই লকডাউনে ওই ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। কিভাবে তিনি তার মেয়ের বিয়ে দেবেন সেই ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
বিষয়টি জানতে পারেন বিধায়ক।
এরপর তিনি ওই ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে এবং বাড়ির সমস্ত খরচ নিজে বহন করেন এবং তার মেয়ের বিয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন হয়।

বিধায়ক বলেন,যার বিয়ে সে আমার বোনের মতো। আর বোনের বিয়ে তো দাদাই দায়িত্ব করে দেবে।
তিনি ওই ব্যক্তির কাছে শুধুমাত্র এইটুকু আবদার করেন যে,বোনের বিয়েতে দাদাকে নিমন্ত্রন করবেন। আমরা জমিয়ে খাবো।

এইরকম একজন বিধায়ক,যিনি ঘরের ছেলের মতো মানুষের কাজ করছেন, মানুষকে আপন করে নিচ্ছেন,এই দেখে মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন।