অবতক খবর,১৮ জানুয়ারিঃ কংগ্রেস নেতার খড়ের গাদায় ভয়াবহ আগুন, দমকলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলো এলাকার যুবকেরা, কেউ ইচ্ছে করে আগুন লাগিয়েছে আশঙ্কা কংগ্রেস নেতার।

কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির খড়ের গাদায় আগুন। এলাকাবাসীর তৎপরতায় রক্ষা পেল গোটা পাড়া। দমকলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পুড়ে ছাই প্রায় ৫০ হাজার টাকার ধানের খড়। শত্রুতার জেরে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়েছে অভিযোগ কংগ্রেস নেতার। মালদা জেলার চাঁচল থানার অন্তর্গত কলিগ্রামের ইমামপাড়ার ঘটনা। ইমামপাড়ার বাসিন্দা কংগ্রেসের কলিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি শেখ জৈনুদ্দীনের খড়ের গাদায় আগুন লেগে যায়। যেখানে সারা বছরের গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে রাখা ছিল প্রায় ২৫ বিঘা জমির ধানের খর। হাওয়ার কারণে বাড়তে থাকে আগুনের তীব্রতা। এলাকাবাসী সাথে সাথে খোজ দেয় দমকল কেন্দ্রে। কিন্তু দমকল আসতে দেরি করায় ঝুঁকি নিয়েই আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে এলাকার যুবকেরা। সকলের প্রচেষ্টায় প্রায় এক ঘন্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকল কর্মীরা। তাদের দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী। তাদের প্রশ্ন আগুন নেভার পর দমকল এলে কি লাভ। খড়ের গাদার পাশেই ঘন জনবসতি সম্পন্ন পাড়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে বড়সড়ো বিপদ ঘটতে পারতো জানায় এলাকাবাসীরা। যদিও দমকল আধিকারিকরা জানান তারা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এসেছেন। কিন্তু তার আগে এলাকাবাসী অনেকটা আগুন নেভানোর কাজ করে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা জইনউদ্দিন অভিযোগ করেন কেউ বা কারা ইচ্ছে করে আগুন লাগিয়েছে।নাহলে আগুন লাগার কোন কারণ নেই। সমগ্র ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

খড়ের গাদার মালিক তথা কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ জৈনুদ্দিন বলেন,” দমকল অনেক দেরিতে আসলো। পাড়ার ছেলেরা ঝুঁকি নিয়ে না নেভালে অনেক ক্ষতি হয়ে যেত।প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার খড় পুড়ে গেছে। শত্রুতা করে কেউ লাগিয়েছে।”

এলাকার যুবক শেখ কামাল উদ্দিন বলেন,” আমরা অনেক কষ্ট করে আগুন নিভিয়েছি। দমকল অনেক দেরিতে এসেছে। নাহলে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে যেত।”

চাঁচল দমকল কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর তীর্থঙ্কর দাস বলেন,” আমাদের কাছে খবর যাওয়ার সাথে সাথেই এসেছি। তেমন ভয়াবহ আগুন লাগেনি। এলাকাবাসী নিজেরাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের নিয়ে চলে এসেছিল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।