২৬ নভেম্বর’২১ ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের বর্ষ পৃর্তি হতো। তার আগেই রাষ্ট্র পশ্চাদপসারণ করে জনবিরোধী তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো ১৯ নভেম্বর ২১, শুক্রবার। কিষানদের অতুলনীয় হিম্মৎ, জেদ এবং সংগ্রামী চেতনার কাছে মাথা নত করলো রাষ্ট্র। এই সংগ্রামে শহিদ হয়েছেন ৭০০ কিষান- কিষানি। তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

ঐতিহাসিক বিজয়
তমাল সাহা

এক)হেঁট

রাষ্ট্র ভেবেছিল
আমার জানা আছে ধূর্ত কৌশল ও কলা
আমার হাতে আছে অস্ত্রীয় খেলা
তার পেছনে মদতে আছে কর্পোরেট।

রাষ্ট্র জানেনা
দেশ আমাদের মানুষের
মানুষের হাতে আছে চরম অস্ত্র–
আমরণ লড়াই
যুগে যুগে রাষ্ট্র মানুষের কাছে
মাথা করেছে হেঁট।

২) জয়োল্লাস

মানুষের জন্য লড়াই
কবে হয়েছে ব্যর্থ?
যুগে যুগে প্রমাণিত
অত্যাচারী শাসক পরাস্ত।

মাটি শুষে নিয়েছে রক্তস্রোত
আগলে রেখেছে লড়াকু লাশ।
পরীক্ষা নিয়েছে সময়
মুঠোয় বন্দী তার জয়ের উল্লাস।

এতো অন্ধকার রাত!
তার গর্ভে কি করে লুকিয়ে থাকে
এতো রক্তবর্ণ লাল সুপ্রভাত?

৩) ইতিহাস

অতিক্রান্ত প্রায় এক বছর- বরোমাস
আলোড়িত বহমান বাতাস।
মুখ বাড়িয়ে আকাশ থেকে
দেখে সাতশটি লাশ—
রে প্রজন্ম! ফেলিস নি দীর্ঘশ্বাস।
আমরা সাথেই আছি
এতো মৃত্তিকার ইজ্জতের লড়াই
তোদের তো জয় হবেই
অত্যাচারীর হবে সর্বনাশ।

তোরা দীর্ঘজীবী হ!
ভারতে এ সংগ্রাম এক যুগান্তরী ইতিহাস!