অবতক খবর,৬ অক্টোবরঃ আজ বহুদিন পর কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা বীজপুরের দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে দেখা গেল ময়দানে। ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পাওয়ার পর থেকে কার্যত হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ‌ সেইভাবে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে দেখা যাচ্ছিল না। আর সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বীজপুরের মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন, তাঁকে কি কোণঠাসা করে দেওয়া হলো? নাকি তিনি নিজেকেই গুটিয়ে নিলেন? এই জাতীয় অনেক কথা বাজারে ঘোরাফেরা করছিল।

অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া শহরের আরেক নেতা সুজিত দাস (বাপি) তিনি এখন রাজনীতিতে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। কাঁচরাপাড়া কুমোর পাড়া সংলগ্ন অঞ্চলে তাঁর একটি পুজো হয়। আগুরিপাড়া অধিবাসীবৃন্দের পুজোটি তাঁরই উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে দীর্ঘ বছর ধরে। সেই পুজোর উদ্বোধনে দেখা গিয়েছিল এই অঞ্চলের লড়াকু নেত্রী আলোরানি সরকারকে। বনগাঁর পদ খুইয়ে তিনিও এখন কার্যত রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।

আজ সুজিত দাসের পুজোর বিজয়া সম্মিলনীতে শুভ্রাংশু রায়কে দেখা গেল মঞ্চে। মঞ্চে উঠেই তিনি সুজিত দাসের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বীজপুরে ছিলাম আছি থাকব! বাপী দা(সুজিত দাস) সহ পুরনো কর্মী অর্থাৎ যারা দল ছেড়ে যায়নি,দলের জন্য লড়াই করে গেছে তাদেরকে আমি সসম্মানে ফিরিয়ে আনবো।”

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আমার আরো আগে আসা উচিত ছিল। আমি আসিনি, সেইজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আগামী মাস থেকে চেষ্টা করব সবার আগে আসার।”

শুধু এই বলে থেমে থাকেননি শুভ্রাংশু। তিনি বলেন,”সুজিত দা যাতে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারে সেই জন্য আমি আমার সবটুকু দিতে চেষ্টা করব।”

তাঁর এহেন বক্তব্যের জেরে বীজপুরের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ‌ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন,তাঁর এইরকম বক্তব্যের কারণ কি? কি ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তিনি? তবে কি আগামী মাস থেকে বীজপুরের রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আসতে চলেছে? আর পুরনো কর্মীদের সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি ফেরাবেন কিভাবে? কি পরিকল্পনা তাঁর?

আজ সন্ধ্যার পর থেকে কিন্তু এই সকল প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে সকল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে।