অবতক খবর,২১ এপ্রিল: সোদপুর ঘোলা পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (২৪)গত ২০১৮ সালে গতিধারা প্রকল্পের চারচাকা গাড়ি কিনে ছিল এক বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে, লকডাউন চলাকালীন চার মাসের কিস্তি বকেয়া পড়ে যায়, এরপর থেকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার তরফ থেকে ফোন করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এমনটাই অভিযোগ গাড়ির ক্রেতা দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের পরিবারের,তারপর পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার সাথে সাথে দেবজ্যোতির বাবা প্রতিমাসের ঋণের টাকা সংস্থায় জমা করে আসছিল, বকেয়া চার মাসের কিস্তির টাকা জমে যাওয়ায় দেবজ্যোতি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হতে ভয় পাচ্ছিল কিন্তু পরিবারের লোকের অভিযোগ ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মী বাড়িতে যখন টাকা নিতে আসতো তখন তারা আশ্বাস দিয়েছিল যে আপনি রাস্তায় গাড়ি বের করুন কোন ভয়ের কারণ নেই,

সেই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীর কথায় ভরসা করে এই মাসের ১১ তারিখ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য গাড়ি নিয়ে কাজের জন্য বের হয়, ঘোলা মুড়াগাছা পেট্রলপাম্পে গাড়ির তেল নেওয়ার জন্য দাঁড়ালে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা এসে তার থেকে তার গাড়ি ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ এবং তাকে অকথ‍্য ভাষায় অপমানজনক কথা বলে এমনটাই অভিযোগ দেবজ্যোতির বাবার,সেদিন তার থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কষ্ট ও অপমানজনক কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে,

শিয়ালদহ মেইন শাখায় ৪ নম্বর রেলগেট এর কাছে লাইনের পাশ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়, গত ১৮ এপ্রিল দেবজ্যোতির বাবা ঘোলা থানায় ঋণ প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য গাড়ি চালিয়ে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল,ঋণ প্রদানকারী সংস্থার চাপে যুবকের মৃত্যু নৈহাটির ঘটনার পর ঋণ প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ঘোলা পূর্বাঞ্চলের দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের পরিবারের লোকজন