অবতক খবর,১৭ অক্টোবরঃ  বীজপুরের রাজনীতিতে কি সত্যিই পরিবর্তন ঘটে গেল?নাকি এখনো আরো পরিবর্তন বাকি?কারণ এক সময়ে এই বীজপুরে কেউ মুখ খোলার সাহস দেখাতে পারেনি অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তারা সরাসরি মুখ খুলতে শুরু করেছেন। কি, শুনে অবাক লাগছে তো!! হ্যাঁ,এটাই সত্যি। অনেক নেতা এখন বিধায়কের বিজয়া সম্মিলনীর পাল্টা বিজয়া সম্মিলনী করছেন। যেমন,১৬ই অক্টোবর কাঁচরাপাড়া হাই স্কুলে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,ছিলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমস্ত কাউন্সিলর এবং নেতৃত্বরা।

তবে ঠিক সেই সময়েই হালিশহর বাগমোড়ে বিজয়া সম্মিলনী করলেন এই অঞ্চলের বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা দীপন দত্ত। যাকে রাজনীতিতে সর্বতভাবে ব্যবহার করে,এক কথায় বলা যেতে পারে নিঙড়ে নিয়ে টিকিট দেওয়ার বেলায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

এদিন তাঁর পার্টি অফিসের সামনে বিজয়া সম্মিলনী করা হল। সেখানে ছিলেন না বিধায়ক,আর না ছিলেন তৃণমূল নেতা কমল অধিকারী। সেখানে ছিলেন হালিশহর পৌরসভার কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস, কাউন্সিলর রিঙ্কু সিংহ রায়,প্রবীর সরকার,খোকন বণিক সহ কাঁচরাপাড়ার দু’একজন কাউন্সিলর।

আর এই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে শোরগোল। অনেক কাউন্সিলররা বলছেন যে,আমরা তো কাউন্সিলর,আমাদের তো ফোন করা উচিত যে, এইসময় মিটিং আছে,এই সময় কর্মীসভা আছে। কিন্তু আমাদের কাছে কোন ফোনই আসছে না। অদ্ভুত একটা অবস্থা। তারা ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে পাঠাচ্ছেন। এইভাবে কি হয়? গ্ৰুপে দিলেই কি রাজনীতি হয়? বোঝাই যাচ্ছে যে, এখনকার নেতারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ রাজনীতি শুরু করেছেন। তারা কি ফোন করে জানাতে পারতেন না যে,অমুক জায়গায় অনুষ্ঠান রয়েছে। এত দ্বিধা কিসের? এমনই অভিযোগ করছেন কাউন্সিলররা। তবে কর্মীরা যারা রয়েছেন তারাও ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, আমাদের একটা সংগঠন রয়েছে। আমাদের কি ফোন করে বলা যেত না? আমাদের একটা এসএমএস করে বলা হচ্ছে। আমরা কি এতটাই তুচ্ছ যে তারা আমাদের সাথে চোখে চোখ মেলাতে পারছেন না! নাকি তার মধ্যেও আমাদের সরিয়ে দেওয়ার কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে?

 

অন্যদিকে হালিশহরের এক বিতর্কিত কাউন্সিলর যিনি অধিকারী পরিবারের জন্যই টিকিট পেয়েছেন, তিনি বলছেন,আমার নাম করবেন না,কিন্তু আমার অভিযোগটি তুলে ধরবেন। যেকোন কর্মসূচি হোক না কেন,আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে জানানো হচ্ছে। কিন্তু কেন ? ফোন তো করা যেতেই পারে। আমরা তো বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে পাঠিয়ে দিলে সেটা তো আমরা অনেক সময় দেখতেই পারি না। এইভাবে আমন্ত্রণ! অবাক লাগে। রাজনীতি কি আমরা এইভাবে করি?? ফোন করলে অসুবিধা কোথায়? আমরা এই সংবাদের মাধ্যমে ওই সকল নেতাদের সমক্ষে আমাদের অভিযোগ তুলে ধরতে চাইছি। এইভাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা যাবো না।

এমনই জানালেন হাজিনগরের এক কাউন্সিলর।

তবে এইভাবে প্রতিবাদ একটা অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে বীজপুরের রাজনীতিতে।

অন্যদিকে যে কাউন্সিলর বিজয়া সম্মিলনীতে যান নি, টাউন সভাপতি অশোক তালুকদার বলছেন,তার সাইকেলে অ্যক্সিডেন্ট হয়েছে,তাই‌ তারা আসতে পারেননি।

অদ্ভুত এক হাস্যকর রাজনীতি চলছে এই‌ বীজপুরে।