এবার ‘অনলি অ্যাকশন’ ফর্মে হালিশহর পৌরসভার প্রশাসক রাজু সাহানীঃপুকুর ভরাট রুখতে এফআইআর বীজপুর থানায়

অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি: এবার পুকুর মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বীজপুর থানায় এফআইআর দায়ের করলেন হালিশহর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক রাজু সাহানী। হালিশহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় চলছিল পুকুর ভরাট। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই তিনি এই পুকুর ভরাটকারী অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরাসরি বীজপুর থানায় এফআইআর দায়ের করলেন।

শুধু তাই নয়, তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, হালিশহরে কোন পুকুর ভরাট করা চলবে না। শহরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি কেউ পুকুর ভরাট করে তবে সেটি সরাসরি এসে আমার কাছে জানান। সাথে সাথেই সেটি বন্ধ করব আমরা। কারণ অলিগলির পুকুরগুলো আমাদের নজরে আসে না। সেগুলি যদি চুপিসারে ভরাট হয়ে যায় তবে আমরা জানতে পারব না, আমরা সংবাদমাধ্যম এবং শহরবাসীর কাছে আবেদন করছি,তারা যেন এ বিষয়ে আমাদের অবগত করেন।

এই মর্মে গত ১৬ই জানুয়ারি তিনি দুই পুকুর মালিক ১) শ্রী সমরেন্দ্র ধর,যিনি নবনগরে একটা পুকুর ভরাট করছিলেন এবং ২) শ্রীমতী মাধুরী সিং, তাঁর স্বামী সুদাম সিং,একজন ব্যবসায়ী, তিনিও বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করছিলেন তেঁতুলতলা সংলগ্ন অঞ্চলে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হালিশহর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক রাজু সাহানী।

রাজু সাহানী পুলিশ প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া কথা বলেছেন। ‌

এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সুদাম সিং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে আমি এখনো পর্যন্ত কিছু জানিনা। থানা থেকেও এখনো কিছু জানানো হয়নি আমাকে।

এখন বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, এই যে ঘটা করে এফআইআর দায়ের হলো আদেও কি কোন কাজ হবে? নাকি শুধু নিজের চেয়ার বাঁচানোর জন্য এই এফআইআর করে মানুষকে দেখানো হচ্ছে? কারণ পুকুর ভরাট তো নতুন কিছু নয় এতদিনে তো অনেক পুকুর ভরাট হয়ে গিয়েছে, তাও তো কোনকিছু করতে পারেনি প্রশাসন। পুকুর পুনরুদ্ধার করার কথা হয়েছিল। এমনকি পাবলিকের টাকা দিয়ে বড় বড় জেসিবি মেশিন এনে লোক দেখানোর জন্য একদিন খননকার্য হয়েছিল তারপর আর কিছুই হয়নি। কেন মানুষের টাকা দিয়ে খননকার্য হবে? যারা ভরাট করেছে তাদের দিয়েই খনন করানো হবে না কেন? আর এই এফআইআর কি কোন কাজে লাগবে নাকি শুধুই লোক দেখানো,তা তো সময়ই বলবে।