অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ১৫ই,ডিসেম্বর :: হায়দরাবাদ :: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল সর্বত্র।

তার দিন কয়েক পরই চার অভিযুক্তের পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শিরোনামে ধর্ষণের খবর। ঘটনাস্থ সেই হায়দরাবাদ। এক অটোচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ১৮ বছরের তরুণী।

ঘটনা গত ৮ ডিসেম্বরের। পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাতে নিজের ১০ বছরের বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী । কিন্তু হঠাৎই রাস্তা হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। কোন পথে এসে পড়েছেন, ঠাউর করে উঠতে পারেন না।

ঠিক সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি অটো। তরুণীকে দেখে অটো দাঁড় করিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে চালক। তার অটোয় উঠে বসে দু’জন। কিন্তু বাড়ির পথে না গিয়ে অটোচালক তাঁদের নামপল্লি এলাকার একটি লজে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

সেখানেই তরুণীকে ধর্ষণ করে চালক। সেই সময় তরুণীর বোন ঘুমাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। পরের দিন সকালে দুজনকে ফলকনামা স্টেশনে ছেড়ে চম্পট দেয় অটোচালক। এরপরই বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তরুণী । গোটা ঘটনা জানান অভিভাবকদের।

এদিকে, রাতভর দুই মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। পরের দিন সকালে তরুণীর ফোন এলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযানগুট্টা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

যদিও পলাতক চালককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারের পর সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আগুনে খানিকটা জল পড়েছিল। কিন্তু নারীরা যে নিরাপদ নয়, হায়দরাবাদের বুকে ফের ধর্ষণের ঘটনায় সে ছবিই  স্পষ্ট হল।