অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুজোর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য হল দেবী দুর্গার হাতে কোনরকম অস্ত্র থাকে না। অস্ত্র না থাকার মূলে রয়েছে শান্তির বার্তা। মূলত এই রীতি চালু হয় ২০০২ সাল থেকে। যখন বিশ্বজুড়ে তৈরি হয় অশান্তির বাতাবরণ ইরাক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে,তখনই বাঁধন দাসের মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এমন চিন্তা ভাবনা তৈরি হয়।

এরপর থেকেই এইভাবেই এই পূজা’র প্রতিমা তৈরি হয়ে আসছে।এই পুজোর অধিকাংশ কাজকর্ম করে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।শিল্পী আশিস ঘোষ জানিয়েছেন – “এখানকার দুর্গোৎসব হল বাঙালি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় মিলনক্ষেত্র।এই দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যে সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে বাউল শিল্পীরা এবং অন্যান্য শিল্পীরা এসে হাজির হন। পাশাপাশি থাকে আদিবাসীদের নাটক, গান ইত্যাদি।

আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এই দুর্গাপুজোর সময় সব ধরনের মানুষের এখানে মিলন মেলায় পরিণত হয়।শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির “হীরালিনী” দুর্গোৎসব ঘিরে তোলা হয় না কোনও চাঁদা। শিল্পীদের শিল্পকর্মই শোভা পায় সোনাঝুরি জঙ্গলের এই দুর্গোৎসবকে ঘিরে।