কাঁচরাপাড়ার পথসেনা গোষ্ঠীর অন্যতম নাট্যকর্মী সুমিত বিশ্বাস আজ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ চলে গেলেন। মানুষের মধ্যে থেকে মুক্তাঙ্গনে নাটক করার একজন পথসৈনিক ছিলেন তিনি। তৃতীয় ধারার নাটকের পথিকৃৎ বাদল সরকারের নাট্য সংস্থা শতাব্দীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। হালিসহর সাংস্কৃতিক সংস্থার উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা “নিশীথেরে লজ্জা দিলো” নাটকেও অভিনয় করেছেন। কর্মজীবনের সঙ্গে আমৃত্যু নাটককে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। চিকিৎসাশাস্ত্রের স্বার্থে তিনি দেহ দান করে গিয়েছেন।

এক পথসেনা হাঁটছে
তমাল সাহা

পথটা অচেনা ছিল না।আসল পথটা চেনাই ছিল। তাই সে পথে নেমেছিল।
কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলে পথসেনা হওয়া যায়?
নাটক চলতে থাকে তৃতীয় ধারায়।
এখনো তার পরিক্রমা হয়নি শেষ
সে এখন পরিব্রজনের পথে
অন্য পদাতিক অন্য রণসজ্জায়।

বোধ করি ইচ্ছে ছিল খুব তার লিডার হবার
তাই মিছিলের আগেভাগে থেকেছে সে বুড়ো হয়ে
ভোমাতেও তার খিদে পেয়েছিল খুব
শবদর্শনে ঘিসু হয়ে মাতিয়ে দিয়েছিল হাওয়া….
চাষারু সে ষণ্ডের মতো গিয়েছিল খেপে
গুণধর মুর্মু হয়ে জোতদারের মাথা
নামিয়ে দিয়েছিল টাঙ্গির এক কোপে।

নাটক যদি করতেই হয় করতে হবে নাটকের মতো নাটক।
দরদর ঘাম ঝরে, পেশি ফোলে, চেতানো বুকে
হে স্পার্টাকাস, হিম্মতদার ক্রীতদাস!
মাটিতে রেখে পা আকাশের দিকে তাকাস।
এখন রক্তকরবীর ফাগুলাল তুই! দেখিস সেজে উঠছে রক্তিম পলাশ।

আর তারপর সেই অগ্নিগর্ভ মুক্তাঙ্গন
কালি সাঁতরা ও বসাই টুডুর গোপন জীবন
উলগুলানের মরণ নাইরে অনন্য উচ্চারণ!

প্রখর মার্তণ্ড মাথার উপরে দ্বিপ্রহরে
পথসেনা হেঁটে চলে পতাকা ওড়ে….