অবতক খবর,৪ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- একটি বাঁদর একের পর এক রোগী দেখে যাচ্ছে ভির করে রয়েছে গ্রামবাসীরা, একবিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই ভয়ঙ্কর চিত্রের সাক্ষী থাকলো বর্তমান সভ্য সমাজ , ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জানান অবিলম্বে বাঁদরের মালিককে গ্রেপ্তার করা দরকার প্রশাসনের ।

কোন ডাক্তারবাবুর কাছে নয়,রোগীরা ভিড় জমিয়েছে একটি বাঁদরের কাছে এবং বাঁদর রোগী দেখছে, ঘটনাটা যতই অবাস্তব মনে হোক না কেন বাস্তব চিত্র এটাই।
বাঁদর ডাক্তারের ভিজিটও কম নয় যেমন রোগ তেমন ভিজিট,  টাকা নিচ্ছে বাঁদরের মালিক সাগর, কারো কাছে 21 টাকা 100 টাকা 200 টাকা আবার 250 টাকাও। এমনই অদ্ভুত ডাক্তার । এই দৃশ্য দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের জয়নগর গ্রামে । ওই বাঁদর ডাক্তার এবং ডাক্তার মালিকের বাড়ি নদীয়া জেলার চাপড়া থানার নবাবগঞ্জে।

চিকিৎসাশাস্ত্রের অভূতপূর্ব আধুনিকরণের যুগেও এরকম মধ্যযুগীয় ভাঁওতাবাজির সাক্ষী থাকলো ইন্দাস ব্লকের জয়নগর গ্রামের বহু মানুষ।

অবশ্য এরকম ভাঁওতাবাজি দেশের সর্বত্রই প্রায় ঘটে চলেছে, তাতে আমরা নিজেদের যতই শিক্ষিত বলে মনে করি না কেন, যতই শিক্ষায় দীক্ষায় দেশকে অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে রাখী না কেন কিন্তু অশিক্ষার আঁধার যে আজও জমাট আজকের এই ঘটনা থেকে আরেকবার প্রমাণ হয়ে যায়।

ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত জানান বাঁদরটা যেভাবে মানুষের রোগ নির্ণয় করছে এবং যে যে ইঙ্গিতগুলো করছে সেটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে মাথাব্যথা পেটব্যথা গলা ব্যথা এগুলি আমাদের সবারই হয় ফলে ঐ ব্যক্তি যে ভাবে ওই মহিলাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি ওই মানুষদের সাথে প্রতারণা করছেন উনি একজন প্রতারক এবং অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা ।