মানুষ! মানুষ! আর মানুষের পাশে দাঁড়ানো কবি, মানুষের ভাতের জন্য লড়াকু কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ঃ শ্রদ্ধা

একটা আস্ত কবিতা
তমাল সাহা

কবি বড়, না কবিতা বড়–
আমি তো জানি না, কে জানে?
কবি লেখে কবিতা, কবি মরে যায়
কবিতা জেগে থাকে পৃথিবীর বাগানে।

কবিতার বাগান তৈরি করে কে,
সে তো কবি।
খুরপি,কোদাল, নিরেনি তার হাতে
চলে কবিতার চাষ-আবাদ
কবিতা না থাকলে পৃথিবীই বরবাদ।

কোন কবিকে তুমি দেবে মালির সম্মান
কি ফুল কোন ফুল ফোটাবে সে বাগানে
ঝাঁঝরি হাতে করবে জলদান?

সময়কে কে বেঁধেছিল কবিতায়
মানুষকে চারাগাছ বানিয়েছিল কে
খিদে ভাত চাঁদ একাকার কার কবিতায়
মাটির গান কার কবিতা লেখে!

ওরা যতই চক্ষু রাঙায়
মুখে যদি রক্ত ওঠে– তবুও
তিন পাহাড়ের স্বপ্ন ফুটে উঠবে কবিতায়

মানুষখেকো বাঘেরা বড় লাফায়
মুণ্ডহীন ধড়গুলি আহ্লাদে চিৎকার করে
জ্বলুক সহস্র চিতা এ-পাড়া, ও-পাড়ায়– তবুও
আর এক আরম্ভের জন্য
শীত বসন্তের গল্প, বেঁচে থাকার কবিতা
লেখা হবে পাতায় পাতায়….

জীবনের অনুষঙ্গ, নির্মাণের রসদ কার কবিতায়
আর সমস্ত জুড়ে একটা আস্ত কবিতা কে—
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।