একই পরিবারের তিন জনের মর্মান্তিক ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বকখালিতে

অবতক খবর,১০ জানুয়ারি: একই পরিবারের তিন জনের মর্মান্তিক ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বকখালিতে। রবিবার দুপুর 2:30 নাগাদ একই পরিবারের তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় রবিবার দুপুর নাগাদ বকখালির বনবিবি মন্দির লাগোয়া জঙ্গলের ভেতর থেকে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনজনই কুলপি থানা এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনায় একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার আগে এই তিনজনেই একটি ফেসবুক লাইভ করেছিল।

ফেসবুক লাইভ এর মাধ্যমে অভিষেক নস্কর নামের যুবক আত্মহত্যা করার আগে বেশ কয়েকটি হাড়হিম করা তথ্য তুলে ধরে। সেই লাইভে তার বাবা এবং মা ছিল। ফেসবুক লাইভ এর মাধ্যমে বলা হয়, কয়েকদিন আগে ব্যাংকের একটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে তার দিদির নাম। সেই থেকেই তারা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ব্যাংকের লোকজনও চড়াও হয় তাদের বাড়িতে এবং তালা লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে।

এরপর এই তিনজনই বকখালির বনবিবি মন্দিরের জঙ্গলের ভেতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সেই হাড়হিম করা ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তিনজনই কুলপি থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।বিকাল 2:30 নাগাদ জঙ্গলের ভেতরে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকজন জঙ্গলের পাতা কুড়াতে গেলে তারাই প্রথমে দেখতে পায় জঙ্গলের ভেতর 3 টি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। পাশেই তিনজনের ঝুলন্ত দেহ।

একটি গাছের মধ্যে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি ব্যাগসহ তিনখানা মোবাইল উদ্ধার করতে পেরেছে।তিনজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ দারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠালে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার।

বকখালি পর্যটন কেন্দ্রের এইরকম হাড়হিম করা ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জঙ্গলের ভেতর থেকে একই পরিবারের তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানো রাগ এই তিনজন নিজেদের জড়িয়ে কান্নাকাটি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই একটি গাছের উপর কাপড় জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা বকখালিতে প্রথম। দেহগুলি ইতিমধ্যেই ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা, তার তদন্ত শুরু করেছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ।