অবতক খবর,২৩ মে: রাজনীতিতে কখন যে কি হয় তা আম জনতার বোঝা বড় দায়!! কিন্তু এই রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখে কি শিক্ষা নেওয়া উচিত নিচু স্তরের কর্মীদের?

এই নিচুস্তরের কর্মীরাই রাজনীতিতে সবথেকে বেশি লড়াই করে এবং মার খায়। কিন্তু শেষমেশ হয় কি? যারা লিডার তারাই গুরুত্ব পায়। শুধু তাই নয়, সমস্ত খেলাই পরিচালনা করেন তারা। আর এই খেলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয় না, তাদের কোন কিছু যায় আসে না, বরঞ্চ সময় সুযোগ বুঝে তারা মালা ও পতাকা বদল করে দল পরিবর্তন করে। আর নিচু স্তরের সাধারণ কর্মীরা এই খেলা খেলা করে পিষে মরে অর্থাৎ তাদের সাথেই খেলা হয়ে যায়।

তারা বলেন, আমরা মার খেলাম,ঘরছাড়া হলাম, আমাদের বাড়ি ভাঙচুর হলো, কত মানুষ রক্তাক্ত হলো এই রাজনীতি রাজনীতি করে। কিন্তু আজ দলে কি চলছে? অদ্ভুত একটা পরিস্থিতি। আমরা সব সময় সংবাদে,সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি যে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন,সমস্ত বুথ লেভেলের কর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এগুলো শুধু মুখের কথা। আসলে এইসব কথার কোন গুরুত্ব নেই। এইসব শুধুই লোক দেখানো।

২০১৯-এর ২রা মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর অর্জুনের নেতৃত্বে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে যে তাণ্ডব চলেছিল, তাতে বহু মায়ের কোল খালি হয়ে গিয়েছিল।‌ সেই মায়েরা তো সন্তান আর ফিরে পাবে না। কিন্তু তারা কি এতো সহজে মেনে নেবেন এইসব? এখন কি ধরনের রাজনীতি হচ্ছে তা মানুষের বুঝতে আর কিছু বাকি নেই। এখন শুধুই স্বার্থের রাজনীতি,পকেট ভরার রাজনীতি।

তবে এখন সিপিএম বলছে যে, বিজেপি তৃণমূল সবাই এক। যে যার নিজের স্বার্থে যখন তখন এ দল ও দল করতে পারে। তবে আমাদের সিপিএমের এই কালচার নেই। মানুষ একদিন নিশ্চয়ই বুঝবে যে সিপিএম ছাড়া আর কোন উপায় নেই।