অবতক খবর,১৫ ডিসেম্বর: অবশেষে সূর্যকে (Sun) ‘স্পর্শ’ করল মানুষ! সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম বার। নাসার (NASA) সৌরযান (Solar Probe) পৌঁছে গেল সূর্যের আবহাওয়ামণ্ডলের বাইরের স্তরে, যার পোশাকি নাম করোনা। তবে এখন নয়, গত এপ্রিলেই সূর্যের বলয়ে ঢুকে পড়ার এই কীর্তি ঘটিয়েছিল পার্কার সোলার প্রোব। কিন্তু ৮ মাস পরে সেই বহু প্রতীক্ষিত মাইলস্টোন ছোঁয়ার কথা জানাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

নাসার হেলিওফিজিক্স শাখার কর্তা নিকোলা ফক্স জানিয়েছেন, ”অবশেষে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। মানবসভ্যতা সূর্যকে স্পর্শ করল।” ‘আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন’-এর এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিকোলা ও তাঁর দলের আরও কয়েকজন সদস্য। সেখানেই এই অভিনব কৃতিত্বের কথা বলেন তিনি।

সূর্যের ওই এলাকা ও সেখানে বইতে থাকা ভয়ংকর সৌর বাতাস নিয়ে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই প্রথম পৃথিবীর কোনও যান তার কাছাকাছি পৌঁছতে পারল। ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা? এপ্রসঙ্গে ‘নেচার’ পত্রিকাকে কলোরাডোর এক সৌর বিশেষজ্ঞ ক্রেগ ডিফরেস্ট জানাচ্ছেন, ”এটা একটা বিরাট মাইলস্টোন।”

নাসা জানিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল পার্কার সূর্যের বলয়ে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সেকথা এতদিন পরে কেন জানানো হল? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই কয়েক মাসে ওই যান থেকে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করে তাকে ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা। তারপরই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন ওই কীর্তি সম্পর্কে।

গত ২০১৮ সালে সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল পার্কার। এরপর থেকেই সূর্যের নানা ছবি পাঠাতে দেখা গিয়েছে সেটিকে। যা সূর্য সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে অনেক সাহায্য করছে বলেই মত বিজ্ঞানীমহলের। এবার সূর্যের একেবারে করোনা অঞ্চলে প্রবেশ করার এই কীর্তি আগামী দিনে সৌরজগতের কর্তাকে বুঝতে আরও বিস্তৃত ভাবে বুঝতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার অন্বেষণ চালিয়ে যাবে পার্কার। সূর্য ও তার চৌম্বক ক্ষেত্র-সহ আরও নানা বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য সরবরাহ করে চলবে ওই সৌর যান।