অবতক খবর,১০ ডিসেম্বর: নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মহুয়া মৈত্রকে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেন নি মহুয়া।

আসলে ঠিক কী হয়েছিল নদিয়ার ওই প্রশাসনিক বৈঠকে? বুধবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকের প্রায় শেষলগ্নে সাংসদের নাম ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহুয়া এখানে একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই। কে কার পক্ষে-বিপক্ষে দেখার দরকার নেই। সাজিয়ে-গুছিয়ে লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিট্যালে দিয়ে দিলাম! এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। যখন নির্বাচন হবে, তখন দল ঠিক করবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কে নয়। সুতরাং এখানে কোন মতপার্থক্য রাখা উচিৎ নয়।”

এর পরই শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের অপমান করে নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন। আমার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে এটাও একটা অন্যতম কারণ ছিল। মানুষের আত্মসম্মান রয়েছে। লাইভ হচ্ছে, তাঁর পিতা-মাতা দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বোধবুদ্ধি নেই।”

এরই পাল্টা মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন,”উনি তৃনমুল ছেড়েছেন সিবিআই ও ইডির তদন্ত ও গ্রেফতারি থেকে বাঁচার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের অভিভাবক। তিনি কিছু নির্দিষ্ট বার্তা দিয়েছেন,দিতেই পারেন। শুভেন্দু অধিকারী নিজের চরকায় তেল দিন। এসব অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড দিয়ে মেদিনীপুরে পার্টি চালানোয় ওর এলাকার লোকই বিরক্ত।”