অবতক খবর,২১ নভেম্বর: নির্বাচন আসন্ন,তাই এখন দিকে দিকে দেখা যাচ্ছে নেতাদের জনসংযোগ করতে। তারা মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাদের অভাব অভিযোগ শুনছেন এবং তা দ্রুত প্রতিকারের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা নির্বাচনের পরেই বোঝা যাবে।

এই উৎসবের মরশুমে বীজপুরে দেখা গেল প্রায় সমস্ত ছোট-বড় নেতারাই বেরিয়ে পড়েছেন জনসংযোগ করতে।

বীজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবার ছট্ পুজোয় বীজপুরের সমস্ত ঘাট পরিদর্শন করলেন। এর পাশাপাশি প্রত্যেক জায়গায় মানুষের অভাব অভিযোগ শুনলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বীজপুরের সমস্ত ছট্ ঘাটগুলি তিনি সংস্কার করবেন এবং রাস্তাঘাট আরো উন্নত হবে। এছাড়াও কাঁচরাপাড়া নিচুবাসায় যে ছট্ পুকুর রয়েছে সেটি সংস্কার করে আরো উন্নত করবেন এবং সেখানে মানুষ বসে সুন্দরভাবে যাতে পুজো দেখতে পারেন এরজন্য তিনি একটি গ্যালারি তৈরি করবেন। জনগণের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে বীজপুর তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী উৎসবের শুরু থেকেই মানুষের মাঝে রয়েছেন জনসংযোগের জন্য। তাঁকে যেখানে ডাকা হচ্ছে তিনি রং না দেখে সেখানেই গিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন। সকলের সঙ্গে উৎসবে সামিল হচ্ছেন।

ঠিক সেইরকমই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামীদিনে অবাঙালি মা,বোনেরা যাতে আরও ভালোভাবে তাদের এই উৎসব পালন করতে পারেন সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এইবছর অনেক জায়গাতেই ঘাটগুলি সংস্কার করা হয়েছে। যে কাজ এমপি,এমএলএ’র করার কথা। কিন্তু মানুষ তাদের থেকে কোন সহযোগিতা বিগত দিনেও পাননি আর এখনও পাচ্ছেন না।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, জনসংযোগ করতে বেরিয়েও নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছে। আবার অপরদিকে তারা এও বলছেন যে,তাদের এক অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বীজপুরের মানুষ চায় যে সেই প্রতিশ্রুতি তারা যেন রাখেন।