অবতক খবর: ওড়িশার বাহানাগা রোড স্টেশনে রেল দুর্ঘটনার জের। রথযাত্রার সময় পর্যটক এবং ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ। রথযাত্রার আগেও এ রাজ্য থেকে পুরীগামী একাধিক ট্রেন বাতিল থাকছে। বুধবার উল্টো রথেও বাতিল একাধিক ট্রেন। এমনকি রথ উৎসবে গোটা এক সপ্তাহ জুড়ে বাতিল হয়ে আছে বিভিন্ন ট্রেন। কারণ চলতি মাসের শুরুতে ওড়িশার বাহানাগায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই স্টেশনটি এখনও ব্যবহারের অনুমতি পায়নি রেল।

ফলে পুরী-সহ ওড়িশা ও দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন বাতিল রাখতে বাধ্য হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। যে ট্রেনগুলি আজও বাতিল রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, শালিমার- হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, খড়্গপুর- খুড়দা রোড এক্সপ্রেস, হাওড়া-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-জাজপুর কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস, শালিমার সম্বলপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি- আগরতলা এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি- আগরতলা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন। আবার ফিরতি পথে পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, তিরুপতি-সাঁতরাগাছি এক্সপ্রেস, এরনাকুলম-পটনা এক্সপ্রেস, এরনাকুলম-হাওড়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন।গত মঙ্গলবার ছিল রথযাত্রা৷ বুধবার উল্টো রথ। অন্যান্য বছর রথের ভিড় সামাল দিতে পুরীর জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হয়৷ এবার পরিস্থিতি এমনই যে ট্রেন বাতিল রাখতে হচ্ছে৷ ফলে এই সময় পুরী যারা গিয়েছিলেন তাঁদের পুরী থেকে ফেরার সময় ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের৷

দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, রেল দুর্ঘটনার তদন্ত চলায় এখনও বাহানগা বাজার স্টেশন ব্যবহারের অনুমতি পায়নি রেল। ফলে খান্তাপাড়া থেকে বাহানাগা হয়ে সোরো পর্যন্ত এখনও ট্রেনের গতি থাকছে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। ওই অংশে পেপার সিগন্যাল দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। যেহেতু একটি ট্রেন যেতেই ওই অংশে অনেকটা বেশি সময় লাগছে, তাই বাধ্য হয়ে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল রাখতে হচ্ছে।তবে দ্রুত বাহনাগা স্টেশন ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে চিঠিও দিয়েছে রেল। সেই অনুমতি পেলেই ওই অংশে ট্রেন চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে দাবি রেল কর্তাদের।