অবতক খবর,৯ জুলাই,শ্রীলঙ্কা: কলম্বোতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনে হামলা চালালেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী! অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে ২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপরাষ্ট্র! শনিবার ফের দেশের জনগণের ক্ষোভের ব্যাপক হিংসাত্মক বহিঃপ্রকাশের নতুন উদাহণের সাক্ষী হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

এক শীর্ষ সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পরিস্থিতি “নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে” এমনটাই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আর তার পরেই গত রাতে গোটাবায়া রাজাপক্ষকে সেনার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শ্রীলঙ্কার পডুজানা পেরামুনা (SLPP) সংসদের ষোলজন সদস্য অবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। শ্রীলঙ্কার পতাকা নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আজ সকালে রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন ঘেরাও করে। বিরোধী দল, মানবাধিকার কর্মী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনি চ্যালেঞ্জের পরে পুলিশ কার্ফিউ প্রত্যাহার করার পরেই এই বিক্ষোভ।সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পুলিশ হাওয়ায় গুলি চালালেও রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘেরাও করা থেকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে পারেনি। বিক্ষোভে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভকারীরা বাস, ট্রেন এবং ট্রাকে করে জড়ো হয়েছেন কলম্বোয়। “আমরা গোটাকে বারবার বলেছি পদত্যাগ করতে কিন্তু তিনি এখনও ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন। যতক্ষণ না তিনি আমাদের কথা শুনবেন আমরাও থামব না,” বলেন সম্পথ পেরেরা। ৩৭ বছর বয়সী এই মত্‍সজীবী ৪৫ কিমি দূরের নেগম্বো শহরের সমুদ্র উপকূল থেকে ভিড়ে ঠাসা এক বাসে করে প্রতিবাদে যোগ দিতে এসেছেন।

এমনকি শনিবারের এই বিক্ষোভের জন্য কলম্বোতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা স্বরূপ রেল কর্তৃপক্ষকে ট্রেন চালাতেও বাধ্য করেছে বিক্ষোভকারীরা। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “কার্ফিউয়ের প্রতিবন্ধকতা ছিল না, এর ফলে আরও বেশি মানুষকে রাস্তায় নামতে উৎসাহ পেয়েছে।”

“একজন ব্যর্থ নেতাকে এভাবে ছুঁড়ে ফেলার এক লক্ষ্য নিয়ে আমি আমার পুরো জীবনে কখনও দেশকে এভাবে জোট বাঁধতে দেখিনি। দয়া করে শান্তি রেখে চলে যান,” #GoHomeGota লিখে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সনত্‍ জয়সূর্য।বৈদেশিক মুদ্রার গুরুতর ঘাটতির ফলে জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানি সীমিত করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে এই দেশ।