উড়োজাহাজ এবং উড়ান সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য অ্যাসোসিয়েশন অফ এভিয়েটর মাইন্ড পার্টিসিপেন্ট অ্যারাউন্ড 50 সংস্থার অভিনব কর্মশালা এবং প্রদর্শন

অবতক খবর,২ আগস্ট,নদীয়াঃ-প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের পাখির মতন ওড়ার তীব্র আগ্রহ এবং আকাঙ্খার ফলে খেলার ছলে কাগজের জেট প্লেন রূপান্তরিত হয়েছিলো হালকা কাঠের উড়োজাহাজে। শতাব্দী থেকে বৈজ্ঞানিক ইঞ্জিনিয়াররা আকাশে উড়ন্ত পাখিদের দেখে তাদের উপর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষায় কাটিয়ে দিয়েছিলেন সারাটা জীবন। উরিবি রাইট এবং উইলবার রাইট দুই ভাই সেই স্বপ্ন সফলতার শিখরে পৌঁছেছিলেন, তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকের একটি দৃঢ় স্বপ্ন থাকা আবশ্যিক।

বর্তমানে হেলিকপ্টার জেট প্লেন রকেট নানা ধরনের নানান আকৃতির উড়োজাহাজে আকাশ ভর্তি। কিন্তু শহরতলী ছাড়ালেই মফস্বল অথবা প্রত্যন্ত গ্রামে ছেলেমেয়েদের সুপ্ত স্বপ্ন জাগরিত করার কোন প্রয়াস নেই সরকারিভাবে। অ্যাসোসিয়েশন অফ এভিয়েটর মাইন্ড পার্টিসিপেন্ট অ্যারাউন্ড 50 নামক একটি সংস্থা আজ নদীয়ার শান্তিপুর মুসলিম স্কুলের মাঠে হান্স আই মডেল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছিলো। সেখানে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং জেলার বাইরে থেকেও প্রায় ৬০ জন প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে।

উদ্যোক্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে শিমুল কাঠের পাতলা অংশ দিয়ে তৈরি করা কুড়ি থেকে ত্রিশ ইঞ্চির একটি করে উড়ান সামগ্রী বানানো হয়। আর সেগুলোকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় হাত দিয়ে আকার গত কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে। বিভিন্ন ধরনের ড্রোন নির্মাণ নির্মাণ করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। তার মাধ্যমেই সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং সে সম্পর্কিত নানাবিধ তথ্য ব্যক্ত করা হয় প্রতিযোগী দের মধ্যে।

আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা ও বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া হাতে তৈরি এ ধরনের পুরাণ সামগ্রী 40 সেকেন্ডের বেশি রাখতে পারেননি কেউ। আমরা আগামীতে সেই রেকর্ড ভাঙতে সমর্থ্য হব। এভাবেই আকাশের বিভিন্ন যান সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি হচ্ছে।