অবতক খবর , নদীয়া :     আজ বাঙালির শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন। নদীয়ার সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিবিড়। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের মালিপোতা দুর্লভ পাড়ায় বেশকিছু আদিবাসী শিশুদের মধ্যে বর্ণপরিচয়, আদর্শলিপি, স্লেট পেন্সিল হাতা সহ পড়াশোনার বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ পূজা মৈত্র। তার আলোচনায় উঠে আসে ১৮৪৭ সালে প্রথম নদীয়া জেলা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তে পদার্পণ করেন তিনি,রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র অন্নদামঙ্গল কাব্যটি নিজস্ব ছাপাখানায় প্রকাশনীর জন্য পান্ডুলিপি সংগ্রহ করতে এসেছিলেন তিনি।১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন বলবৎ হওয়ার পর ওই বছরই ৭ ই ডিসেম্বর শান্তিপুর শহরের এক বিধবা নারীর সাথে কলকাতার এক অধ্যাপকের বিবাহের ব্যবস্থা করেন তিনি।

একই বছরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে কর্মজগতে নিযুক্ত হওয়ার পর নদীয়া জেলার মধ্যে প্রথম শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বেলগড়িয়া অঞ্চলে একটি সরকারি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা হেমলতার বিবাহ হয়েছিলো রানাঘাট শহরের আঁইশমালি গ্রামে। এইরকমই নানা স্মৃতিচারণায় শিশুদের মাঝে কাটলো বহুক্ষণ।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবা বিবাহ আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিপুরের তন্তুবায় শিল্পীরা তাঁতের শাড়িতে লিখেছিলেন “বেঁচে থাকো বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে”। সত্যিই সেদিনের সেই লেখা শুধু তাঁত শাড়িতে নয়, বাঙালির চিরকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় পাতায়! গাঁথা থাকবে প্রত্যেক বাঙালির হৃদয়ে।